প্রিয় মর্তের মানুষ,


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাড়ি পৌঁছে গিয়েছি, তোরা আর চিন্তা করিস না। আসার সময় রাস্তায় একটু জ্যাম ছিল, তাই দার্জিলিংয়ের পথে হংকং মার্কেট থেকে একটু শপিং করলাম। কার্তিকের জন্য অ্যাপেল ট্যাব, সরস্বতীর জন্য ইলেকট্রিক বীণা। লক্ষ্মী অনেক দিন ধরেই বায়না ধরেছিল ওর একটা স্কুটি চাই। সেটাও কিনে দিলাম। স্কুটি কেনার পর গনশার জন্য কিনলাম ল্যাপটপ। অনেক দিন পর মামাবাড়ি আসে ওরা, খালি হাতে কৈলাসে ফিরলে কেমন একটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে। তাই একটু কেনাকাটা। 'ওনার' (শিব) জন্য কিছু না নিয়ে গেলে আবার গোঁশা হবে তাঁর। কি কিনি কি কিনি করতে করতে শেষমেশ 'আইডিয়া' এল একটা কলকে নিয়ে যাই। খুঁজতে খুঁজতে পেয়েও গেলাম। তবে দেশী নয়, বিদেশি কলকে। মেড ইন চায়না। বেশ খুশি হয়েছে ওটা পেয়ে। আমি বিশেষ কিছু নিলাম না, ওদের খুশিতেই তো আমার খুশি।


তোরা ভাল থাকিস। পরের বছর আসছি ৬ অক্টোবর। মাঝে মাঝে পিং করিস। অবশ্য এত উচুতে 'ফ্ল্যাট', নেটওয়ার্ক টাই পাওয়া যায় না।


ইতি-
মা দুর্গা
মহাশূন্য মহাদেব সরণি, কৈলাস ভিলা।


মা কৈলাসে পাড়ি দিয়েছেন। মর্তের মানুষের মন খারাপ। পুজোয় 'পুজস্বী' নিতে ব্যাস্ত মানুষ মায়ের সঙ্গে ছবি তুলেই সময় কাটিয়েছেন। মা কেবল চেয়ে চেয়ে দেখেছেন। অবশেষে প্রযুক্তি হাতে পেয়ে চটপট টেক্সট ছাড়লেন মর্তের জন্য। সত্যিই যদি এমন হত? কল্প কোথায় কত গল্পই না লেখা যায়। মন খারাপের দিনে যদি কল্প ভাবনায় গল্প এঁকে একটু হাসি, একটু আনন্দ দেওয়া যায় তাতে ক্ষতি নেই। অগত্যা... চালিয়ে যাও বাঙালি (হোয়াটস অ্যাপ থেকে সংগৃহীত)। পড়ুন আর শেয়ার করুন।