ওয়েব ডেস্ক: প্রচণ্ড গরম।  তারওপর শুরু হয়েছে জলকষ্ট। পুকুর শুকিয়েছে, কুয়ো শুকিয়েছে। সত্তর ফিট গভীর টিউবওয়েলেও জল উঠছে না। পুরসভা, পঞ্চায়েত টাইম কলে যে জল দিচ্ছে তাতে আশ মিটছে না। বাঁকুড়া,পুরুলিয়া,বীরভূম জল নিয়েই লাঠালাঠি বেধে যাওয়ার অবস্থা। সাধারণ মানুষের মতই আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে প্রশাসনও। কবে বৃষ্টি নাবে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, আসানসোল শিল্পাঞ্চল আর বীরভূম। ছোটোনাগপুর মালভূমির এই অংশে বর্ষা বাদ দিলে জলের সমস্যা সারা বছরই । কারণটা ল্যাটেরাইট  মাটি। ল্যাটেরাইট মাটির জলধারণ ক্ষমতা বড় দুর্বল। ফলে দ্রুত নেমে যায়  ভূগর্ভস্থ জলস্তর।   এসব কারণ অবশ্য সবার জানা।  তবুও সমাধান হল না কেন?উত্তর খুবই জটিল।


যাঁর কথা বললেন তাঁদের বাড়ি বাঁকুড়ায়। জানালেন বড় জলকষ্ট। একই অবস্থা পুরুলিয়ায়। জলের দাবিতে মঙ্গলবার পুরুলিয়া শহরের দুটি জায়গায় পথ অবরোধ করেন বাসিন্দারা। তেলকল পাড়ায় পুরুলিয়া বাঁকুড়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। অবরোধ হয় পুরুলিয়া-বরাকর সড়কেও।


বীরভূমেও সেই দশা


কিন্তু কেন। কৃষিতে উন্নতি। মাটি থেকে জল তুলে নিয়ে চাষবাস? ফ্ল্যাটবাড়ির জলের জন্য গভীর নলকূপ? এর জেরে বৃষ্টি না হলেই  নেমে যাচ্ছে জলস্তর! কিন্তু পঞ্চায়েত তো  জল ধরো জলভর প্রকল্পে সাফল্য দাবি করছে? তাহলে ভূগর্ভের জলস্তর  কমছে কীভাবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, রাজস্থানের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে জল ধরো জলভর প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও পরিকল্পনার স্তরেই রয়েছে গলদ। একশ দিনের কাজে টাকা খরচ হচ্ছে বটে। কিন্তু নিয়মমাফিক কাজ হচ্ছে না। তেমনি বৃক্ষ রোপনেও রয়েছে বড় অসফলতা। গাছ লাগানো হয়েছে, কিন্তু বাঁচিয়ে রাখার ব্যবস্থা হয়নি। ফলে জলধারণের উত্‍সগুলি যাচ্ছে শুকিয়ে। বাড়ছে জলের জন্য হাহাকার।