নিজস্ব প্রতিবেদন: বউবাজার বিপর্যয়ের দায় ঘুরিয়ে রাজ্য সরকারের ওপরেই চাপালেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শুক্রবার বহরমপুরের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময়ে এ নিয়ে মমতার সরকাকেই কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। একই সঙ্গে গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন অধীরবাবু। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর গতিপথ নিয়ে জটিলতা নতুন নয়। প্রাথমিকভাবে শিয়ালদহ স্টেশন হয়ে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের নিচ দিয়ে, সেন্ট্রাল স্টেশন হয়ে মহাকরণ যাওয়ার কথা ছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর। সে ক্ষেত্রে বর্তমান মেট্রো থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ট্রেন বদল করতে হত সেন্ট্রাল স্টেশনে। সেই মতো যাবতীয় পরিকাঠামোও  তৈরি ছিল বর্তমান স্টেশনে। ১৯৭১ সালে পাশ হয় এই মাস্টার প্ল্যান। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বেঁকে বসে রাজ্য সরকার। 



এরপর রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয় মেট্রো নিয়ে যেতে হবে এসপ্ল্যানেড হয়ে। দীর্ঘ দড়ি টানাটানির পর ২০১৫-র অগাস্টে নবান্নে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর সঙ্গে রাজ্য সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর সেই জট কাটে। ঠিক হয় শিয়ালদহ থেকে বাঁদিক ঘুরে মেট্রোর লাইন ঘন জনবসতিপূর্ণ বউবাজারের নিচ দিয়ে সোজা পৌঁছে যাবে এসপ্ল্যানেডে। এ ক্ষেত্রে শিয়ালদহ ও এসপ্ল্যানেডের মধ্যে থাকবে না কোনও স্টেশন। এরপর দু কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ সুড়ঙ্গে অক্সিজনের অভাবের আশঙ্কায় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে সুড়ঙ্গ করে অক্সিজেনের ব্যবস্থা হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়। 


এ ক্ষেত্রে মেট্রোর পথ পরিবর্তনের জন্য অতিরিক্ত ৭৬৪ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানায় রেলমন্ত্রক। সেই ব্যয়ভার বহন করতে রাজিও হন তাঁরা। এর জেরে ২০১২ সালে নয়া প্রস্তাবিত রুটে ট্রেন চলাচলের কথা থাকলেও ২০১৫ পর্যন্ত কাজই শুরু হয়নি। এবার সেই ইতিহাস টেনেই শুক্রবার অধীরবাবু বলেন, "টানেলের পথ কার নির্দেশে পরিবর্তন হল, সিদ্ধান্ত ছিল ব‌উবাজারের মেন রোডের নিচ দিয়ে যাবে। তবে এই নয়া রুট কেন?" এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রীর কাছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন: KMRCL-এর বসানো লোহার সাপোর্ট কাজ করছে না, ফাটল এবার হিদারাম ব্যানার্জি লেনের একাধিক বাড়িতে


প্রসঙ্গত, বউবাজার বিপর্যয়ের পরই দুর্গতদের ত্রাণ ও ক্ষতিপুরণের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীসহ গোটা প্রশাসন। মেট্রোর সঙ্গে সহযোগীতার বার্তাও দেন নেত্রী। বিপর্যয়ের অকুস্থলে দাঁড়িয়ে মেট্রোর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার কথাও বলেন মমত। এ বিষয়ে অধীরবাবুর দাবি তিনি নিজেই বিপর্যয়ের কারণ হওয়ায়, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।