নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া গেল ৫০ হাজার টাকা। দু’দিন কেটে গেলেও কোনও বিধায়কই সেই টাকাকে নিজের করে নিলেন না। এখন প্রশ্ন জেগেছে টাকা তুমি কার? বুধবার, বেলা বারোটার সময় কর্মব্যস্ত বিধানসভা থেকে পাওয়া গিয়েছে ৫০ হাজার টাকা। বারান্দার কাছ বিধানসভার কর্মীর নজরে আসে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল। গুনে দেখা গেল মোট ৫০ হাজার টাকা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওই কর্মী একসঙ্গে এত টাকা পেয়েও আত্মসাতের বিন্দুমাত্র চিন্তা করেননি। প্রথমে গেটে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের জিজ্ঞাসা করেন, কেউ কী এই টাকার খোঁজ করছিলেন? বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও সচিব অভিজিৎ সোমের কাছে খবর পৌঁছালে। বিধানসভায় আগত সকলকে জিজ্ঞাসা করা হয়। কিন্তু কেউই নিজের করে নেয়নি। জানা গিয়েছে, ৫০ হাজার টাকার ওই নোটের বান্ডিল আপাতত সচিবের হেফাজতেই রয়েছে। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিলে তবেই ওই টাকা সংগ্রহ করা যাবে।


উল্লেখযোগ্য, বুধবার সকালে টাকা উদ্ধার করা হয়। কিন্তু কেউ এসে বিধানসভার সচিবালয়ে টাকার খোঁজ করেননি। তাই এই টাকা-রহস্য দানা বেঁধেছে। এখন সম্প্রতি বিধায়কদের দল বদলের সময় চলছে। তাই এই টাকা কী ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছিল বা এক হাত থেকে অন্য হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়ার কোন পরিকল্পনা ছিল এর পিছনে? বিধায়ক কেনাবেচা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি এখন সরগরম। আরও বেশি করে এই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রাক লগ্নে। দলবদলের এই হিড়িকের মধ্যেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, বিধায়ক কেনাবেচার জন্য কী এই টাকা কোনওভাবে ব্যবহার করার ছক ছিল? সেক্ষেত্রে কি পরিকল্পনা ছিল এই টাকা এক হাত থেকে অন্য হাতে পৌঁছে দেওয়ার? কোনও কর্মীর কাছে এই টাকা থাকাটা কার্যত সম্ভব নয়। তাই প্রথম পর্যায়ে বিধায়কদের দিকেই সন্দেহের তির রাখা হয়েছে। আপাতত সিসিটিভি ফুটেজে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।