ওয়েব ডেস্ক : প্রথম থেকেই নারদ কাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তের কথা বলেছে আদালত। রাজ্য পুলিসে যে ভরসা নেই, তাও বারবার স্পষ্ট করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ফুটেজ জাল নয়, এই তথ্য পাওয়ার পর তাই আর দেরি নয়। CBI-কেই হাইপ্রোফাইল মামলার তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। চলুন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোনপথে নারদকাণ্ডে CBI-


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৪ মার্চ, ২০১৬
বিধানসভা ভোটের ঠিক আগ মুহূর্তে সামনে আসে নারদ ভিডিও। রীতিমতো ঝড় শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। দাবি ওঠে CBI  তদন্তের। হাইকোর্ট প্রথম থেকেই এই ঘটনার তদন্তেরই পক্ষে।


গত এপ্রিলে তত্কালীন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর এই মামলার শুনানিতে বলেন, এই ফুটেজ সামনে আসার পর সমাজে আলোড়ন পড়ে গেছে। জনমানসে এর প্রভাব পড়েছে। এই ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। এই  ঘটনার তদন্তে রাজ্যের পুলিস যে যথেষ্ট নয়, বারবার তা স্পষ্ট করে দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের বেঞ্চও।


৬ জানুয়ারি, ২০১৭
গত ছয়ই জানুয়ারি এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মাত্রে বলেন, কোনও স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে এই মামলার তদন্ত করানো প্রয়োজন।


১২ জানুয়ারি, ২০১৭
আদালত বলে, স্টিং ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য CBI-ই উপযুক্ত সংস্থা।


১৮ জানুয়ারি, ২০১৭
শুনানিতে ফের একবার রাজ্য পুলিসের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে হাইকোর্ট। বিচারপতি নিশীথা মাত্রে বলেন,  ভিডিওতে এক IPS অফিসারকে টাকা নিতে দেখা যাচ্ছে। তার পরেও পুলিস তদন্ত করেনি। এরপর কী নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করা যায়?


২০ জানুয়ারি ২০১৭
শেষ শুনানিতে  CBI-র আইনজীবীকে ডেকে পাঠান প্রধান বিচারপতি। নারদ কাণ্ডে CBI তদন্ত সম্ভব। আইনি জটিলতা নেই। আদালতে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন CBI-র আইনজীবী।


আইনজীবী মহলের মতে তখন থেকেই এই মামলায় CBI তদন্তের ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছিল। ফরেন্সিক পরীক্ষায় স্পষ্ট হয়ে যায়, ফুটেজ বিকৃত নয়। এর পরেই শুক্রবারের CBI  তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।


আরও পড়ুন, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, নারদকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তৃণমূল