নিজস্ব প্রতিবেদন: ঢাকে কাঠি পড়েছে অনেকদিন আগেই, আজ মহালয়া দিয়েই শুরু হল দুর্গা পুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, এই দিনেই মর্তে আবাহন ঘটে দেবী দুর্গার। দেবীপক্ষের শুভ সূচনাতেই সপরিবারে বাপের বাড়িতে আসেন উমা, এমনই বিশ্বাস সনাতনীদের। তাই হিন্দু সংস্কৃতির মানুষের কাছে এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপিতও হয়। সকালের তর্পণ পর্ব শেষে মিষ্টিমুখ, আড্ডা, হুল্লোড়ের সঙ্গেই মণ্ডপে মণ্ডপে চলে দেবীপক্ষের সূচনার আনন্দ উৎসব। আর একই সঙ্গে এই দিনেই পটুয়াপাড়ায় চলে দেবী প্রতিমার চক্ষুদান পর্বও। 'বড় দুর্গা'র শিল্পী মিন্টু পালের কথায়, "বাবা-কাকাদের থেকে জেনেছি, আগেকার দিনে রাজবাড়ি, বনেদি বাড়ির যে পুজোগুলি হত, সেখানে কাঠামো পুজো হত জন্মাষ্টমীর দিন। মহালয়ার দিনে হত চক্ষুদান। দেবীর আগমন (দেবীপক্ষ) হয় এই মহালয়ার দিনই। তাই আগেকার দিনের মানুষ এই দিনটিকে শুভ মেনেই দেবী প্রতিমার চক্ষুদান করতেন। দেবীপক্ষ শুরু হয়ে যাওয়া মানেই দুর্গা মায়ের চক্ষুদান পর্বেরও শুরু। এখনও অনেক মানুষ এই নিয়মই মানছেন।"    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্বখ্যাত এই প্রতিমা শিল্পীর কথায়, "বারোয়ারি পুজোর ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা অসম্ভব। মহালয়ার দিনই যেখানে মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর পৌঁছে দিতে হয় তখন দেবীপক্ষের সূচনায় চক্ষুদানের রীতি মানা আমাদের পক্ষে সব সময় সম্ভব হয় না। সে কারণে অনেক আগে থেকেই প্রতিমার চক্ষুদান করা হয়।" উল্লেখ্য, অনেক বনেদি বাড়িতেই আবার মহালয়ার পরের দিন, অর্থাৎ প্রতিপদের দিন চক্ষুদানের রীতি রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ির কথাও উল্লেখ করা যায়, যেখানে দেবী দুর্গার চক্ষুদান হয় মহালয়ার পরের দিন।