নিজস্ব প্রতিবেদন: বার বার উদ্ধার হচ্ছে এলএসডি-এমডিএমএ। কখনও বমাল ধরা পড়ছেন বিদেশি নাগরিকরা, কখনও আবার জালে কলেজ পড়ুয়ারা। কিন্তু কেন? কলকাতাকেই কেন মাদক পাচারের রুট হিসাবে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গাঁজা-চরসের দিন শেষ। জেন ওয়াইয়ের নয়া সেনসেশন এখন কেমিক্যাল ড্রাগ। আকারে ছোট কিন্ত, নেশা জবরদস্ত। গত কয়েক বছরে ভারতীয় উপমহাদেশে এই কেমিক্যাল ড্রাগেরই রমরমা। তবে মাদক পাচারের জন্য বার বার এ রাজ্যকেই বেছে নেওয়ার পিছনে উঠে আসছে কিছু সম্ভাব্য কারণ-


প্রথমত, ভৌগলিক অবস্থান। এ রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ-নেপাল-ভূটানের সীমান্ত রয়েছে। নেপালের ঠিক পাশেই চিন। ভারতীয় উপমহাদেশে ড্রাগ ঢোকানোর সবচেয়ে সহজ রুট তাই এ রাজ্য।


দ্বিতীয়ত, কেমিক্যাল ড্রাগ তৈরির খরচ অনেক। দরকার উন্নত পরিকাঠামো। তাই, এদেশে এ ধরনের ড্রাগ তৈরি হয় না। কেমিক্যাল ড্রাগ মূলত তৈরি হয় মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও চিনে। সেই সব ড্রাগই বিভিন্ন সীমান্ত পার করে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে এ রাজ্যে।


কোনপথে রাজ্যে ঢুকছে ড্রাগ?


জানা যাচ্ছে, মায়ানমার থেকে ড্রাগ বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে। থাইল্যান্ড থেকে আসা ড্রাগের জন্যও একই রুট ব্যবহার হচ্ছে। চিন থেকে নেপাল সীমান্ত পার করে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে ড্রাগ।


একবার রাজ্যে ঢোকার পর এইসব ড্রাগ ছড়িয়ে পড়ছে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। অত্যন্ত দামি হওয়ায় এলিট সোসাইটিতেই এর ব্যবহার বেশি। তাই মূলত পার্টি সার্কিটেই এর ব্যবহার বেশি।


কোনপথে চলছে পাচার?


কলকাতা থেকে ড্রাগ ছড়িয়ে পড়ছে মুম্বই-দিল্লি-বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদের পার্টি সার্কিটে। মুম্বই-দিল্লি থেকে এসব ড্রাগ পাচার হচ্ছে পাকিস্তানেও। আর দেশের দক্ষিণপ্রান্ত ধরে বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদ হয়ে এলএসডি-এমডিএমএ ছড়িয়ে পড়ছে শ্রীলঙ্কায়।


আগে মাদক পাচারের জন্য সমুদ্রপথ ব্যবহার করত পাচারকারীরা। বঙ্গোপসাগর-আরব সাগর হয়ে মাদক ছড়িয়ে পড়ত উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে। এখন সেই রুটের বদলে অবস্থানগত সুবিধার জন্য এ রাজ্যকে ব্যবহার করছে মাদক পাচারকারীরা। আর কলকাতা হয়ে উঠছে 'ট্রান্সিট পয়েন্ট'। আর এটাই এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। আরও পড়ুন- জরায়ুতে লুকিয়ে টিস্যু পেপার-সুতো, মিলল না মাদক