মদন-হারের ময়নাতদন্তে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব
মদন-হারের ময়নাতদন্তে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কামারহাটিতে কেন হারলেন প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র? জেলা নেতাদের কাছ থেকে তা জানতে চেয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জবাব তলব করা হয়েছে কামারহাটির স্থানীয় নেতাদের থেকেও। ৭ দিনের মধ্যে দিতে হবে রিপোর্ট।
ওয়েব ডেস্ক: মদন-হারের ময়নাতদন্তে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কামারহাটিতে কেন হারলেন প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র? জেলা নেতাদের কাছ থেকে তা জানতে চেয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জবাব তলব করা হয়েছে কামারহাটির স্থানীয় নেতাদের থেকেও। ৭ দিনের মধ্যে দিতে হবে রিপোর্ট।
২৯৪-এ ২১১। রাজ্যজুড়ে ঘাসফুল ঝড়ে উড়ে গেছে হাত-হাতুড়ি। সাফল্যের মাঝেও কাঁটার মতো বিঁধছে কামারহাটি। ৪ হাজার ১৯৮ ভোটে মানস মুখার্জির কাছে পরাজিত মদন মিত্র। মদন মিত্রের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীর হার নিয়ে ফলঘোষণার দিনই দলের অন্দরে শুরু হয় কাটাছেঁড়া। দলের মধ্যেই সামনে উঠে আসে ভিন্ন মত।
দলের একাংশের যুক্তি,জেলবন্দি মদন মিত্র জিতলেও এলাকাতে আদৌ কতটা কাজ করতে পারবেন ভোটারদের সেই সংশয় থেকেই হার। কিন্তু, প্রশ্ন সেটাই একমাত্র কারণ হলে মার্জিন এত কম কেন? দলের আরেক অংশ তাই আঙুল তুলছে অন্তর্দ্বন্দ্বের দিকে।
রবিবার কামারহাটিতে মদন মিত্রের হারের কাটাছেঁড়া করতে বৈঠক বসেন জেলা তৃণমূল নেতারা। পর্যালোচনায় উঠে আসে প্রতি বুথে খুব সামান্য ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন মদন মিত্র। রাডারে চলে আসেন উত্তর ২৪ পরগনার স্থানীয় নেতারা। আঙুল ওঠে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা গোষ্ঠীর দিকে। গোষ্ঠীকোন্দল যে রয়েছে তা প্রমাণ করে দেয় রবিবারের হাতাহাতি। আর এসব চাপানউতোরের মধ্যেই মদন মিত্রের হারের কারণ নিয়ে জেলা নেতাদের কাছে রিপোর্ট তলব করল তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব।
৭দিনের মধ্যে হারের কারণ বিশ্লেষণ করে বুথভিত্তিক রিপোর্ট খামবন্দি অবস্থায় পৌছে দিতে হবে তৃণমূল ভবনে মানস মুখার্জির কাছে কম মার্জিনে হার মেনে নিতে পারেননি মদন মিত্র নিজেও। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, হারের কারণ বিশ্লেষণ করবেন তিনিও।