নিজস্ব প্রতিবেদন:  “সরকার সিঙ্গুরের চাষিদের সব রকম সাহায্য করেছে। কিন্তু তবুও কেন চাষের পরিমাণ কমেছে, আমি কী করে বলব?” বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



প্রসঙ্গত,  সিপিএম সরকার সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণের  ১০ বছর পর ২০১৬ সালে ১৪ প্রায় ১০০০ একর জমি আবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় কৃষকদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি চাষিদের হাতে তুলে দেওয়ার সময়ে  সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ৯৫৫ একর জমি চাষযোগ্য। সেক্ষেত্রে বর্তমানে দেখা গিয়েছে, মাত্র ২৬০ একর জমিতে চাষ হয়েছে। কেন দুই তৃতীয়াংশ জমিতে কাজ হচ্ছে না? এদিন বিধানসভায় সেই প্রশ্ন করেন সুজন চক্রবর্তী।


 মুখ্যমন্ত্রী তাঁর উত্তরে বলেন,  “২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে সিঙ্গুরে ২৬০ একর জমিতে চাষ হয়েছে।  সরকার কৃষক দের সবরকম সাহায্য করার পরেও চাষের পরিমাণ কেন কমছে আমি কী করে বলব?” তিনি দাবি করেন,  মাটি পরীক্ষা করে সার ও বীজ মিলিয়ে ১০ হাজার টাকা কৃষকদের  দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “জোর করে তো আর চাষিদের বলতে পারি না চাষ কর। কেউ জমি বিক্রি করে দিচ্ছে বেশি দাম পেয়ে। চাষের দামও বেড়েছে।”


কত টাকার লেনদেন হয়েছিল? রোজভ্যালিকাণ্ডে এবার তলব অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব ইডি-র


সিঙ্গুরে মোট জমির পরিমাণ ৯৭৭ দশমিক ১১ একর। ফেরত দেয়া হয়েছে ৯৫৫ দশমিক ৯০ একর। ৪১ দশমিক ২১ একর জমির মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।


পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭-১৮ তে ৬৪১ একর জমিতে চাষ হয়েছিল। ২০১৮-১৯ এ ২৬০ একর জমিতে চাষ হয়েছে। অর্থাৎ সিঙ্গুরে  চাষের জমির পরিমাণ ক্রমশ কমছে। ৪১.২১ একর জমির মালিককে খুঁজে বের করতে জেলা প্রশাসন ও ভূমি দফতরকে নির্দেশ দেন। এদিন সিঙ্গুরের জমি নিয়ে সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্নের কার্যত কোনও উত্তরই দিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী।