কলকাতা: বন্যপ্রাণী সংরক্ষনে উদাসীনতা কাটিয়ে সক্রিয় হবার পক্রিয়া শুরু করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রায় তিন বছর পর স্টেট ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প নিয়ে ।  মূলত জঙ্গলে চোরাশিকার ও চোরাপাচার রুখতে  এবার প্রশাসন ও সেনাকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে:


#  চোরাশিকার ও চোরাপাচার রুখতে তৈরি করা হবেওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট। বনদফতর ছাড়াও CID, BSF, SSB, সেনা ও শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরাও থাকবেন এই ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটে। এই বিভাগটি উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গে কাজ করবে।


# দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা সিকিম-সেবক রেলপথ সম্প্রসারণের কাজে এবার গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ সেনেচুয়ারির মধ্যে দিয়ে যাওয়া ওই রেলপথের কাজ দ্রুত শেষ হতে চলেছে।


# ময়ুরঝর্ণা এলিফেন্ট রিজার্ভ (দক্ষিণবঙ্গ) গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। হাতিদের সংরক্ষণের ওপর জোর দিতে চায় বনদফতর। সম্প্রতি হাতি হানায় মানুষের প্রাণহানির মতো  ঘটনা রুখতে এটা বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয়।


#সুন্দরবনের মতো, বক্সা অরণ্যে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ গঠনের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকে পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।


# সুন্দরবনের জম্বুদ্বীপে হরিণ প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।


#ভুটান থেকে বিদ্যুৎ এর তার১৬.০৯ একর  বনভূমির ওপর দিয়ে নিয়ে যাওয়ায় শর্ত সাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার।