জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লি থেকে উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন রাজ্যপাল। তারপর হয়তো আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। ভেবে অবাক লাগল য়ে তাঁর সারাদিনে একটাই কর্মসূচি ছিল, সেটি হল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করা। তাই যদি হয় তাহলে তিনি কলকাতায় এলেন না কেন? কাল সকালে যেতে পারতেন? এমনকি আগামিকাল আপনা কী কর্মসূচি রয়েছে তা কেউ জানে না। কল্য়াণদার সঙ্গে কথা হল, আমাদের দাবি যে ন্যাহ্য তা উনি স্বীকার করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে ২১ লাখ ২৫ হাজার মানুষের টাকা আটকে রাখা হয়েছে তা যে অনৈতিক তা উনি মেনে নিয়েছেন।  উনি বলেছেন উনি শীঘ্রই আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করবেন। তার সঙ্গে এটাও বলেছেন রাজনৈতিক চাপ থাকলে তিনি কিছু করতে পারবেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অভিষেকের সঙ্গে কবে দেখা করবেন রাজ্যপাল, দার্জিলিংয়ে বৈঠকের পর কী বললেন কল্যাণ


রাজভবনে ধর্না মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিল্লির কৃষিভবনে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন একজন আমলা মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলেন, রাজ্যের বিজেপি নেতারা টাকা ছাড়তে নিষেধ করছে। সাধ্বী নিরঞ্জন যে আসবেন তা ওদের মধ্যেই কেউ বলেছেন। ওখানেও তো ভালো লোক রয়েছেন। কৃষিভবনে যাওয়ার জন্য় আমার আমাদের ডেলিগেশনের লিস্ট পাঠিয়েছিলাম। তারা যদি তা গ্রহণ না করেন তাহলে তারা আমাদের কৃষিভবনে ঢুকতে দিলেন কেন? আমাদের লোকজনদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। মহুয়া মৈত্রকে তো প্রায় চ্যাংদোলা করে নিয়ে গেল। আমার একদিকে ছিল দোলাদি আর একদিকে বীরবাহা। টেনে হিঁচড়ে টানতে টানতে নিয়ে গিয়েছে। প্রতিমা মণ্ডলের চুলের মুঠি ধরে নিয়ে গিয়েছে। কীভাবে আমাদের সাংসদের অত্যাচার করে নিয়ে গিয়েছে তা সবাই দেখেছে। সেদিনই আমরা ঘোষণা করেছিলাম আমরা রাজভবন অভিযানের ডাক দেব। আমরা রাজভবন পৌঁছেছি ও অবস্থান করছি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন কলকাতায় এসেছেন। ধরনা মঞ্চে যারা বসে রয়েছেন তাদের সঙ্গে একবার ফোনে কথা বলার ভদ্রতা দেখাননি। দেখা করার কথা ছেড়ে দিলাম।


অভিষেক আরও বলেন,  রাজ্যপাল বলেছেন পাহাড়ে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। সেটাই করেছি আমরা। শহরে যদি বিজেপি সভা করে সেখানে আমি যাব। হিসেব দেব। ১৭ লাখ লোককে বাদ দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। তা বিজেপি করেনি। ওই ১৭ লাখ লোকের মধ্যে বিজেপির সেনামুখির বিধায়কও পরিবারের একজনের নাম ছিল। যে ১১ লাখ মানুষের লিস্ট রাজ্য সরকার দিল্লিতে পাঠিয়েছে তার টাকা কে আটকে রেখেছে? দুদিন আগে আমরা যখন দিল্লি গিয়েছিলাম তখন তোমারা দেখা করোনি। আজ বিমান ধরে দৌড়ে আসতে হয়েছে। আজ কলকাতায় এসে সাংবাদিক বৈঠক করতে হচ্ছে। কাল গ্রামে গ্রামে গিয়ে লিফলেট বিলি করতে হবে। ২১ লাখ লোক কাজ করেছে কিনা? যদি কাজ করে থাকে তাহলে দেশের কোন আইনে আপনারা ২ বছর কাজ করিয়ে টাকা আটকে রেখেছেন? এর উত্তর আমরা রাজ্যপালের কাছ থেকে চাই। আমরা চাই রাজ্যপাল নিজে চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী কাছে তা জানতে চান। মন্ত্রীর থেকে চেয়ে লাভ নেই। আপনারা যে বাংলার মানুষকে নিপীড়িত করে রাখছেন তার প্রমাণ এই বস্তা বস্তা চিঠি। মানুষ নরেন্দ্র মোদীর কাছে মাথা নত করবে, মেরুদন্ড বিক্রি করবে তারপর এরা বাংলার টাকা ছাড়বে। কোন আইনে ওই টাকা আটকে রাখা হয়েছে তার লিখিত ব্যাখ্যা আমরা না পাব ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। অপেক্ষা কর, আর তো ছটা মাস! কত টাকার দুর্নীতি হয়েছে সেটাই তো দেখাতে পারছেন না। যার মাথার উপরে সিবিআই ঝুলছে সে বলছে সিবিআই তদন্ত চাই। দরকার হলে আবার আমরা দিল্লি যাব। ওরা ১৬ হাজার পুলিস নামিয়েছিল। পরের বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবে। ওরা ৫০ হাজার পুলিস নামাবে। তাও বাংলার মানুষ দিল্লি যাবে। আবার আমরা ৫০ হাজার ১ লাখ লোক নিয়ে গিয়ে আন্দোলন সংগঠিত করব।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)