জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। এনিয়ে এবার মুখ খুললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুধু তাই নয়, কলকাতা পুরসভায় দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেল তিনি চরম সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দুপুরেই সল্টলেকের তাপমাত্রা ছুঁল ৩৮ ডিগ্রিতে, আরও কঠিন দিন আসছে কলকাতায়


নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি গ্রেফতার হয়েছেন শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রমোটার অয়ন শীল। সল্টলেকে তার অফিসে থেকে বহু  অ্যাডমিট কার্ড, ওএমআর ও পুরসভার পরীক্ষার নথি পাওয়া গিয়েছে। ফলে পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। এখন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের দাবি কলকাতা পুরসভার নিয়োগও দুর্নীতি হয়েছে। 


কী বলেছেন সজল ঘোষ? বিজেপি কাউন্সিলর বলেন, পরিস্কার দুর্নীতি। পুরসভায় চাকরি হয় মিউনিশিপ্যাল কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০১৭ সালে কয়েক লক্ষ যুবক আবেদন করেছিল। পেয়েছে ৩টে পাড়ার লোক। ১৪৯টা পদ ছিল। নিয়োগ হয়েছিল ১৪৮টি পদে। ওইসবে পদে নিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে নদিয়া সংলগ্ন এলাকার ১১৮, বৈদ্যবাটি ভদ্রেশ্বর থেকে ৬ এবং বাকীটা ববিদার পাড়া থেকে হয়েছে। বিশ্বাস করেন, দুই থেকে আড়াই লক্ষ যুবক পরীক্ষা দিল আর চাকরি পেল ৩টে পাড়ার লোকজন? এই জন্যই আমার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছি। এগিয়ে বাংলায় ৩টে পাড়া?


সজল ঘোষের ওই অভিযোগ নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, দুর্নীতি প্রমাণ হলে সিবিআইয়ের দরকার হবে না। আমি নিজেই নিজেকে আত্মহুতি দিয়ে দেব। 


উল্লেখ্য়, পার্কিং ফি বৃ্দ্ধি নিয়ে তাঁর সমালোচনা শুরু হয়েছে দলের মধ্যে থেকেই। তবে তার মধ্যেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন পার্কিং নিয়ে এবার কোনও ফিজিক্যাল টেন্ডার হবে না। ছাড়া হবে ই-টেন্ডার। এনিয়ে ফিরহাদ বলেন, এরকম ব্যবস্তা সব জায়গাতেই রয়েছে। এটা একটা নিয়ম। পুরসভার সব ক্ষেত্রেই ই-টেন্ডার হয়ে গিয়েছিল। পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে ফিজিক্য়াল টেন্ডার হয়েছিল। এনিয়ে অভিোগ উঠেছে। তাই ই-টেন্ডারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)