ব্যুরো: লড়াকু সুজেট আর নেই। এনসেফ্যাইলিটস প্রাণ কেড়ে নিয়েছে তাঁর। পার্কস্ট্রিটে কিছু বিকৃতমনস্ক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছিল সুজেটকে। কিন্তু, দমাতে পারেনি তাঁর অদম্য মানসিকতাকে। প্রকাশ্যে এসে শাস্তি দাবি করেছিলেন দুষ্কৃতীদের। প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠে ছিলেন সুজেট জর্ডন। জানিয়েছিলেন 'ধর্ষণ নির্যাতিতা' নয়, স্বনামেই বেঁচে থাকতে চান তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুজেটের মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠেছিল। শাস্তি পাবে কি তাঁর ধর্ষকরা। আইনজীবীরা দাবি করে ছিলেন তাঁর মৃত্যুতে বিচার প্রক্রিয়া ব্যহত হবে না।  কিন্তু সত্যিই কি বিচার পাবে তাঁর পরিবার? জেলবন্দি অভিযুক্তদের বেপরোয়া আচরণ সেই প্রশ্নই উসকে দিচ্ছে।


চব্বিশ ঘণ্টার মাধ্যমেই প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিলেন তিনি। বলেছিলেন নিজের লড়াইয়ের কাহিনি।


কিন্তু যে ঘটনায় প্রতিবাদের  মুখ হয়ে উঠেছিলেন  সুজেট, সেই মামলায় অভিযুক্তরা কি শাস্তি পাবে ? পার্কস্ট্রিটকাণ্ডে  অভিযুক্তদের হাল হকিকতই এমন আশঙ্কা উসকে দিচ্ছে।  তিন অভিযুক্ত নাসির খান, রুমান খান, সুমিত বাজাজ এখন জেলে। অথচ গারদের পিছনে থেকেও রীতিমত আপডেটেড তাদের ফেসবুক প্রোফাইল। সোশ্যাল নেটয়ার্কিং সাইটে ছবি পোস্ট থেকে কমেন্ট  সবই করে চলেছে তারা।  


বেপরোয়া রুমান গত উনিশে মার্চ  নিজের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছে।  গত আঠারো, উনিশ ও একুশে  মার্চ নগর দায়রা আদালতে তাদের পেশ করা হয়।  আদালত চত্বরে ভিড় জমান তাদের পরিবারের লোকজন। সেদিনও তিনজনই  ছিল নির্বিকার। প্রশ্ন উঠছে, জেলে কীভাবে মোবাইল পাচ্ছে তারা?