নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী ও ভারত সরকারকে অপমান করেছেন। নিন্দার কোনও ভাষা নেই। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা অসত্য বলেছেন বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়,''ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন উনি। মুখ্যসচিব বাধ্য হয়ে সঙ্গ দিয়েছেন।'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রীর ইয়াস-পর্যালোচনা বৈঠকে বিরোধী দলনেতার থাকা নিয়ে এ দিন আপত্তি তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) জবাব,''পর্যালোচনা বৈঠকে থাকার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) থেকে আমাকে ফোন করে থাকতে বলা হয়েছিল। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমায় স্বীকৃতি দিয়েছেন। ওড়িশায় বিরোধী দলনেতা বিজেপির প্রদীপ নায়েককে ডাকা হয়েছিল। কোভিড আক্রান্ত থাকায় আসতে পারেননি তিনি। নিম্নমানের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেসের সংসদীয় নেতা অধীর চৌধুরীকেও বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছিল। দিল্লিতে থাকার জন্য আসতে পারেননি।''


কলাইকুণ্ডায় তাঁকে অপেক্ষা করিয়ে রাখার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য, সফরসূচিতে ছিল দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও ২টো ৫ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী কপ্টার অবতরণ করবে। কনফারেন্স রুমে প্রধানমন্ত্রী ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করছিলেন। তার পর মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয়, তাঁরা আসবেন কিনা। মুখ্যমন্ত্রী এলেন। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী-সহ আমি উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানালাম। এরপর ১ থেকে দেড় মিনিট থাকলেন। লিখিত আবেদন ধরিয়ে মুখ্যসচিবকে সঙ্গে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন উনি। মুখ্যসচিব বাধ্য হয়ে সঙ্গ দিয়েছেন। 


 


বাংলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতে রাজি আছেন বলে এ দিন জানান মমতা। তার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,''প্রধানমন্ত্রীকে অনেকবার অপমান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পায়ে ধরার কথা বলেছেন। পা ধরতে হবে না, সংবিধান মেনে চলুন। আমার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সম্মান দেব। আপনিও একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান ও মর্যাদা দেবেন।''


 


শুভেন্দুর  (Suvendu Adhikari) সংযোজন,আপনি বিরোধী দলনেতাকে মর্যাদা দিতে না পারেন। কারণ নন্দীগ্রামে আপনি আমার কাছে হেরেছেন। আপনার দুঃখ, যন্ত্রণা আছে। একজন বিধায়ক না হয়েও মুখ্যমন্ত্রী। একজন মানুষের ভোটে জেতা নির্বাচিত বিরোধী দলনেতাকে অপমানের অধিকার কেউ দেয়নি। বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ভেঙেছেন। ভারতের সর্বস্তরে নিন্দার ঝড় বয়েছে। ফিসফ্রাই খাইয়ে আমাদের ম্যানেজ করা যাবে না। ভালো কাজ করলে সহযোগিতা করব।  


আরও পড়ুন- ওড়িশা-গুজরাটে বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হল না কেন? ফাঁকা চেয়ারের ছবি পরিকল্পিত: Mamata