জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় বাগদা সীমান্তে এক তরুণীকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দুই জওয়ানের ধর্ষণ থেকে শুরু করে বিলকিস বানোর প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষকরে গুজরাত হিংসায় গণধর্ষণের শিকার বিলকিস বানোর কথা টেনে এনে বেটি বাঁচাও খোঁচা দিলেন গেরুয়া শিবিরকে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, সীমান্তে আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই জন্য আপনারা ক্ষমতায় থাকতে চান? পনের কিলোমিটার থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তল্লাশির এক্তিয়ার ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। গ্রামে ঢুকে অত্য়াচার করা হচ্ছে। বিলকিস বানোর সঙ্গে কী হয়েছিল? স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হল। এর সুয়োগ নিয়ে সব রাজ্যকে আপনারা চিঠি লিখেছিলেন বেশকিছু বন্দিকে ছেড়ে দিতে হবে। তখন বুঝতে পারিনি যে গুজরাটে যারা দাঙ্গা করেছিল তাদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত! আপনারা বেটি-র কথা বলেন? ভালোবাসার কথা বলেন? মেয়েদের উপরে সবচেয়ে বেশি অত্যাচার আপনারা করেন। আপনারা দেশ ভেঙে দিচ্ছেন। ইতিহাস ভেঙে দিচ্ছেন। সিলেবাস নষ্ট করেছেন। কেউ এর বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মায়ের গণধর্ষণের প্রধান সাক্ষী সে-ই, ট্রমা কাটছে না ৫ বছরের মেয়ের!


উল্লেখ্য, ২০০২ সালের গুজরাট হিংসায় উন্মত্ত জনতার হাতে খুন হন বিলকিস বানোর পরিবারের ১১ সদস্য। গণধর্ষণ করা হয় ৫ মাসের গর্ভবতী বিলকিসকে। তাঁর চোখের সামনেই আছাড় মেরে খুন করা হয় তার ৫ বছরের মেয়েকে। ওই ঘটনায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। গত ১৪ আগস্ট দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে দেশের বহু জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে বহু সাজাপ্রাপ্ত। তাদের সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হয় ওই ১১ জনকে। শুধু তাই নয়। সবরমতী জেল থেকে বের হওয়ার পর ওই ১১ জনকে মিষ্টিমুখ করায় আরএসএস কর্মীরা। ওই ঘটনায় দেশজুড়ে বড়মাপের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে একমাত্র সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মেয়ো রোডে এনিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি বিলকিস বানোর ধর্ষকদের ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদ করার পাশাপাশি ধরনা দেওয়ার হমকি দিয়েছেন। 


পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের গ্রফতারের পর পার্থর পাড়ায় গিয়ে অনুব্রতর কথা টেনে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন মমতা। সোমবার মেয়ো রোডের সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে একেবারে অলআউট আক্রমণে যান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, প্রতিটি রাজ্যে সরকার ভাঙার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। ওই টাকা কোথা থেকে আসে? বেদান্ত ভিলেজে কী হয়েছে? ভোটের সময় প্রতিটি হোটেলে কী হয়েছে আমি জানি। আমরা একটা শালীনতা বজায় রেখে চলি। তাই কিছু করি না। আপনার শুনে রাখুন, রাজীব গান্ধীর কাছে ৪০০ সাংসদ ছিল। তারপরও তাঁকে হারতে হয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধী অনেক শক্তিশালী মহিলা ছিলেন। তারপরও তাঁকে হারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। বিজেপির কত লোক আছে? বিহার তো চলে গেল। আরও কয়েকটি জায়গা যাবে। ভোট যখন আসবে তখন শূন্য হয়ে যাবে। সবাইকে এখন সিবিআই, ইডি দেখানো হচ্ছে। প্ল্যানটা কী? ববিকে গ্রেফতার কর,মলয়কে গ্রেফতার কর, চন্দ্রিমাকে গ্রেফতার কর। তারপর তৃণমূলকে হারাব। আমি বলছি আমাকেও আটকাও।  আটকে দেখো কী হয়। ভোটের আগে তো মেরেছিল। ওদের একটা কথাও বিশ্বাস করবেন। ববি অ্য়ারেস্ট হলে বুঝবেন সব সাজানো। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)