নিজস্ব প্রতিবেদন : শহরের ড্রাগ চক্রের অন্যতম পান্ডাকে মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে গ্রেফতার করল নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। ধৃতের নাম কমলেশ বাস্তে। ধৃত কমলেশ বাস্তেকে জেরায় সামনে এল কলকাতার মাদক ব্যবসার সঙ্গে দুবাই যোগের ছবিটা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শহরের মাদক কারবারের পর্দাফাঁসের অভিযানে নেমে আগেই নিলয় ঘোষ বলে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। তাকে জেরা করেই জানা যায় নাসিক থেকে ক্যুরিয়ার করে মাদক পাচার করা হত কলকাতায়। তারপর সেই ড্রাগ ছড়িয়ে দেওয়া হত কলকাতার কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে। সেই ক্যুরিয়ারের সূত্র ধরেই কমলেশের খোঁজ পান তদন্তকারী অফিসাররা।


আরও পড়ুন, নেশার জগতে 'ম্যাজিক মাশরুম' ঘুম কেড়েছে শহরবাসীর, ফাঁস আন্তর্জাতিক মাদক চক্র


কমলেশকে জেরা করে সামনে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সামনে আসে শহরের মাদক কারবারের সঙ্গে দুবাই যোগের কথা। জেরায় কমলেশ জানিয়েছে, মাদক কারবারের মাথা দুবাইতে বসে রয়েছে। দুবাই থেকেই তার কাছে নির্দেশ আসত। সেই নির্দেশ মতোই কাজ করত সে।


জেরায় আরও জানা গেছে, বছর ২০-র কমলেশের ২০১৬ সালে ইউরোপ পড়তে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যজনিত কারণে সেই যাওয়া বাতিল হয়। এরপরই রাজস্থানের কোটায় এক নাইটক্লাবে এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় তার। কমলেশ জানিয়েছে, ওই মহিলা-ই তাকে প্রথমে মাদকের নেশা ধরায়, পরে মাদকের ব্যবসায় নামায়।


আরও পড়ুন, অ্যাম্বুল্যান্সে 'ডাক্তার' সেজে এসি মেকানিক! মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর


তদন্তে জানা গেছে, কলকাতার ১০০-রও বেশি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজে মাদক সরবরাহের অর্ডার নিয়েছিল কমলেশ। সেইমতো নিলয়ের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল মাদকের পেটি। নাসিক থেকে ১৭৫ টাকা করে কলকাতায় নিলয়ের কাছে মাদক সরবরাহ করত কমলেশ। কিন্তু সেই মাদকই শহরের পড়ুয়াদের কাছে নিলয় বিক্রি করত চড়া দামে ২৫০০ টাকায়।


আরও পড়ুন, 'দাদা'র সঙ্গে 'বোনে'র নাকি 'অন্য' সম্পর্ক! পরিণতি হল করুণ


ধৃতদের জেরা করে এখন রাজস্থানের ওই মহিলা ও দুবাইয়ের কিংপিনের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসাররা।