ওয়েব ডেস্ক: চাণক্য, ভারতের আদি শিক্ষক, দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, আইনজ্ঞ এবং রাজকীয় উপদেষ্টা। ঐতিহ্যগতভাবে ইনি কৌটিল্য নামেই পরিচিত। বিষ্ণু গুপ্ত নামেও তাঁকে সম্বোধন করা হয়। প্রাচীন ভারতের রাজনৈতিক গ্রন্থ এবং অর্থশাস্ত্রের লেখক ইনিই। ৩৫০ থেকে ২৮৩ বিসিই পর্যন্ত ভারতে তিনিই ছিলেন সে সময়ের শ্রেষ্ঠ উপদেষ্টা, লেখক ও রাজনীতিবিদ। তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব এমনই, যে বর্তমান সময়েও তাঁর আদর্শিত নীতির অনুকরণ ও অনুসরণ দুই'ই করা হয়। চাণক্য নীতিকেই জীবনাদর্শ করতে পারলে জীবনের পথ সুগম হয়, বেগ পেলেও উপায়ও পাওয়া যায়।  চাণক্য নীতির পাঠশালা থেকে এমন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তুলে আনা হল, যা আপনার জীবনের সুখের চাবিকাঠি হতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চার এমন নীতির কথা চাণক্য বলেছেন, যা কখনই অন্যের সঙ্গে শলাপরামর্শ করা উচিত নয়।


আর্থিক ক্ষতির কথা
নিজের জীবনের আর্থিক ক্ষতির কথা কাউকে জানাবেন না। যদি আপনি অর্থ সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যান, তা নিজের মধ্যেই চেপে রাখুন। চাণক্যের মতে আর্থিক সঙ্কটের কথা জেনে কেউ আপনাকে সাহায্য করবে না, আপনার পাশে দাঁড়াবে না, দাঁড়ালেও তা হবে কপটতা। তাঁর মতে সমাজের দরিদ্র কখনই সম্মান পায় না।


ব্যক্তিগত সমস্যার কথা
নিজের কোনও সমস্যার কথা সর্ব সমক্ষে না বলাই চাণক্যের নীতি। ব্যক্তিগত সমস্যার কথা গোপন রাখার কথাই বলেছেন চাণক্য। ব্যক্তিগত সমস্যার কথা সবাই জানলে তা উপহাসিত হতে পারে। সবাই তা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করবে।


স্ত্রীর চরিত্রের কথা
অন্যের কাছে নিজের স্ত্রীর চরিত্র সবসময় লুকিয়ে রাখা চাণক্যের নীতিকথার অন্যতম একটি। বুদ্ধিমান ব্যক্তি এমনটাই করেন। যারা নিজের স্ত্রীকে নিয়ে সবার সামনে চর্চা করেন, অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা এমন কিছু বলে ফেলেন, যা শোভনীয় নয়। যার পরিণতি ভয়ানক হতে পারে।


অবহেলিতদের থেকে অপমানিত হওয়ার কথা
অবহেলিতদের থেকে অপমানিত হওয়ার কথা গোপন রাখুন। চাণক্য মনে করতেন, এই ঘটনার বহিঃপ্রকাশ যেকোনও ব্যক্তিকে হাস্যকর উপদানে পরিণত করতে পারে। যা ওই ব্যক্তির গর্ববোধে আঘাত করবে, অহংকে আঘাত করবে।