নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আতঙ্কের আবহে বিগত ৬-৭ মাস ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউন চলছে। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বহু সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মীরাই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এ অফিসের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ভারতেও একই ভাবে বদলেছে কর্মসংস্কৃতি। এ দেশেও সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত হাজার হাজার মানুষ বাড়ি থেকেই অফিসের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মাসের পর মাস ধরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রায় অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে রাতে ঘুমের সময়ে। সাম্প্রতিক একটি সর্বভারতীয় সমীক্ষা জানাচ্ছে, করোনা মহামারির আবহে রাতের ঘুম কেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ ভারতীয়র! ৪৪ শতাংশ ভারতীয় এখন অনেক রাত পর্যন্ত জাগতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দেশজুড়ে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের পরিবর্তিত কর্মসংস্কৃতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে এমনটাই দাবি করা হয়েছে GOQii-এর সমীক্ষায়।


GOQii-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, বিগত কয়েক মাসে শারীরিক ক্লান্তি কম হওয়ার ফলে মানুষ আগের তুলনায় রাতে অনেকটাই কম ঘুমোচ্ছেন। শারীরিক ক্লান্তি কম হওয়ার কারণে রাতে ঘুম আসতে দেরি হচ্ছে। অনেকের ক্ষেত্রেই দিনের বেলায় বাইরে বেরনোর তাড়া না থাকায় সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। ফলে রাতেও তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার প্রয়োজন বোধ করছেন না অনেকেই। ফলে বেড়েছে রাত জাগার প্রবণতা।


এই সমীক্ষায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সমাজ বিজ্ঞানীদের একাংশের মতামতও সামনে এসেছে। অনেকেই জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর জেরে অর্থনৈতিক বিপর্যয়, কর্মসংস্থানের সঙ্কট, উপার্জনের অনিশ্চয়তা ইত্যাদির কারণে বেড়েছে মানসিক উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা। আর এই মানসিক উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তার কারণেই টান পড়েছে রাতের ঘুমে।


আরও পড়ুন: শিশুদের হৃদযন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করছে করোনা! আতঙ্ক বাড়িয়ে দাবি বিজ্ঞানীদের


GOQii-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষের ৪৭ শতাংশ করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকেই অফিসের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিগত কয়েক মাস ধরে। বর্তমানে ভারতের মাত্র ১১ শতাংশ মানুষ বাইরে থেকে খাবার অর্ডান দিয়ে আনাচ্ছেন। বাকিরা করোনা থাকে বাঁচতে বাইরের হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলছেন। ফলে সব মিলিয়ে করোনা মহামারীর ফলে দেশের কর্মসংস্কৃতি ও জীবনযাত্রায় অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে।