ডায়াবেটিস থাকলে বা ঝুঁকির বর্ডারলাইনে অবস্থান হলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন। নিয়মিত ওষুধ, রক্তে শর্করার মাত্রার দৈনন্দিন নিরীক্ষণ, ডায়েট পরিবর্তন করার মতো একাধিক পদক্ষেপ করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে, ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন শুধু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে তাই নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনন্দিন রুটিনে যে পরিবর্তনগুলো আনলে ভাল ফল মিলতে পারে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হল।


মদ্যপান এবং ধূমপান ত্যাগ করা: মদ্যপান এবং ধূমপান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। ডায়াবেটিস থাকলে সেগুলো স্পষ্ট বোঝা যায়। এই দুটি জিনিসই স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালনে বাধা দেয়। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। খুব বেশি মদ্যপান বা ধূমপান করলে আস্তে আস্তে কমাতে হবে। এক সময়ের পর পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হবে। যায়। দৃঢ় ইচ্ছাশক্তিই এর একমাত্র চাবিকাঠি। এর জন্য পেশাদারের পরামর্শ নেওয়া যায়।



সুষম খাদ্য: সঠিক পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন ইত্যাদির মতো পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত উপায়। খাবার নির্দিষ্ট সময় করতে হবে। খাবারের পরিমাণ কম করার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। বার বার খাবার খাওয়ার থেকে একবার পেট ভরা ভারি খাবার খাওয়া অনেক ভাল। খাবার এবং ওষুধ দুটোই সময়মতো নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।


 



দৈনন্দিন রুটিনে থাকুক ডাবর চ্যবনপ্রকাশ: সাপ্লিমেন্ট অনাক্রম্যতা বাড়ানোর একটা কার্যকর উপায়। ডাবর চ্যবনপ্রকাশ একটি আয়ুর্বেদিক হেলথ সাপ্লিমেন্ট যা ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে এই পণ্য তৈরি হয়েছে। এতে রয়েছে কালোত্তীর্ণ কিছু ভেষজ যা টিএনএফ আলফা, এনকে কোষ এবং স্প্লেনোসাইটের মতো রোগ প্রতিরোধক উপাদানগুলির কার্যকলাপকে উদ্দীপিত করে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য সমন্বয়মূলকভাবে কাজ করে। শুধু তাই নয়, এনার্জি বাড়ানো এবং উন্নত জীবনযাত্রাতেও সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিকদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডাবর চ্যবনপ্রকাশ-সহ ডায়েট এবং জীবনযাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে সংক্রমণের ঝুঁকির বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি যোগায়।


 



কিছু সময় ত্বকের যত্নে: ত্বক বিভিন্নভাবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। তীব্র ব্যথা, হাতে-পা অসাড় হয়ে যাওয়া। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা অনেক সময় ব্যথার তীব্রতা সাধারণ মানুষের মতো অনুভব করেন না। যে কোনও ব্যথা বা আঘাত নিরাময় হতেও বেশি সময় নেই। কিছু ক্ষেত্রে অঙ্গচ্ছেদ করতে হয়। তাই নিয়মিত ত্বকের হাইড্রেশনের দিকে খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা। পা ঘষে দেখা, আঘাত লাগলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই ভাল। এতেই ডায়াবেটিস এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে।


 



ডিটক্স করা: ডিটক্স হাইড্রেশন রেসিপি যেমন সবুজ রস, দারচিনির জল, তুলসি পাতার জল ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দুর্দান্ত উপায়। কাঁচা বা অপ্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন শাকসবজি, বাদাম, বীজ ইত্যাদির সঙ্গে ডিটক্সিফিকেশন কার্যকর। শরীরের টক্সিন পরিষ্কার করতে, স্বাস্থ্যকর রক্তে শর্করার মাত্রা, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে এবং অনাক্রম্যতা উন্নত করতে সাহায্য সামগ্রিক স্বাস্থ্যও বজায় থাকে। অন্য দিক থেকে দেখলে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ডিটক্সিফিকেশনও জীবনধারা উন্নত করতে এবং সামগ্রিক শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারে।


 



পরিশেষে: ডায়াবেটিস রোগীরা নিজেদের জীবনের মান উন্নত করতে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো ছাড়া সময়ে ওষুধ খাওয়া, চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কমানো, নিয়মিত চেকআপ যার মধ্যে রুটিনে ডাবর চ্যবনপ্রকাশের মতো হেলথ সাপ্লিমেন্ট নেওয়া, হাইড্রেটেড থাকা এবং অন্যান্য জীবনযাত্রার পরিবর্তন রোগীকে সাহায্য করতে পারে। জীবনের চ্যালেঞ্জগুলিকে আরও ভাল ভাবে মোকাবিলা করার পাশাপাশি প্রতিদিনের অসুস্থতার সঙ্গে লড়ার জন্য অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি জরুরি।


আপনার হেলদি জার্নি শুরু করতে ক্লিক করুন


ডিসক্লেমার: চ্যবনপ্রকাশ একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ। এটি ডায়াবেটিসের চিকিৎসা বা নিরাময় করে না। ব্যবহারের দিকনির্দেশের জন্য লেবেল পড়ুন। নো অ্যাডেড সুগারের অর্থ পরিশোধিত চিনি। সংক্রমণ এবং রোগ কাশি এবং সর্দির মতো প্রতিদিনের সাধারণ অসুস্থতাকে বোঝায়।


এই নিবন্ধ শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে, পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়।


(আর্টিকেলটি ফিচার কনটেন্ট। এর সঙ্গে IDPL-এর এডিটোরিয়াল সংযোগ নেই। এর জন্য IDPL দায়ী নয়।)