নিজস্ব প্রতিবেদন: দুপুরে ‘ভাত-ঘুম’-এর প্রতি বাঙালিদের একটা বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। বর্তমানে চূড়ান্ত কর্মব্যস্ততায় বছরের বেশির ভাগ দিনেই এই সুযোগ পাওয়া যায় না। তবে ছুটি-ছাটায় সুযোগ পেলেই ‘ভাত-ঘুম’-এর জন্য বান্ধবীর সঙ্গে ডেট বা স্ত্রীর সঙ্গে শপিং অনায়াসেই কাটিয়ে দিতে পারেন বাঙালি ছেলেরা। বাঙালি মেয়েরাও এ ক্ষেত্রে কিছু কম যান না! দুপুরে ভাত ঘুমের ঠেলায় ঘুরতে যাওয়া, সিনেমা দেখতে যাওয়া বা কোথাও নিমন্ত্রণে যাওয়া নানা অজুহাতে এড়িয়ে যান অনেকেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে  দুপুরে খেয়ে দেয়ে কী আর অফিসের কাজ করা যায়! দুপুরে খাওয়ার পরই ঝিমুনি বা ঘুম ঘুম ভাব কাজের গতি কমিয়ে দেয় অনেকটাই। কিন্তু জানেন কি, দুপুরের ‘পাওয়ার ন্যাপ’ আমাদের শরীর-মনের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী! একাধিক গবেষণায় সামনে এসেছে ভাত-ঘুমের বেশ কয়েকটি উপকারিতা। আসুন, সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...


১) একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘুম কম হলে আমাদের শরীরে কর্টিসোল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোনর প্রভাবে বেড়ে যায় মানসিক চাপ। দিনের বেলা অল্প সময়ের জন্য হলেও এই ভাত-ঘুম বা ‘ন্যাপ’ আমাদের শরীরে সক্রিয় কর্টিসলের ক্ষরণ কমাতে সাহায্য করে। ফলে মানসিক চাপ কমে যায়।


২) অফিসে হোক বা বাড়িতে, আপনি যেখানে যে কাজ করছেন, সে কাজেই প্রয়োজন মনসংযোগ আর সজাগ দৃষ্টির। একটি মার্কিন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ৪০ মিনিটের ভাত-ঘুম বা ‘ন্যাপ’ যে কোনও কাজেই আমাদের ১০০ শতাংশ সজাগ আর সতেজ করে তোলে। গবেষকদের দাবি, শরীর চাঙ্গা আর তরতাজা রাখতে প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিটের ভাত-ঘুম বা ‘ন্যাপ’ প্রয়োজন।


৩) একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিটের ভাত-ঘুম বা ‘ন্যাপ’ আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।


আরও পড়ুন: প্রতিদিন ৯ ঘণ্টা করে ঘুমোতে হবে, তাহলেই মাস গেলে মিলবে ১ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক!


৪) কাজের ফাঁকে মিনিট কুড়ির ভাত-ঘুম বা ‘ন্যাপ’ আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে আরও সজাগ, সক্রিয় করে তোলে। এর ফলে কাজ করার ক্ষমতা বেড়ে যায় আর কাজের মানও উন্নত হয়।


৫) বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজের ফাঁকে অন্তত মিনিট কুড়ির ভাত-ঘুম বা ‘ন্যাপ’ সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।