নিজেদের ৬টা ভুলের জন্য সাইবার ক্রাইমের শিকার হন অনেকেই
সাইবার ক্রাইমের শিকার বেশিরভাগ মানুষ। অনেক সময় সাইবার ক্রিমিনালদের হাত থেকে রেহাই পান না খোদ রক্ষকও। এমন ঘটনাও দুর্লভ নয় দেশে। সব থেকে বড় কথা হল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ক্রাইমের পরিমাণও যথেষ্ট বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু জানেন কি অনেক সময় আমাদের নিজেদের ভুলের জন্যই আমরা সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে থাকি? তবে এবার এক ঝলকে দেখে নিন কি কি ভুল করে আমরা সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে পড়ি...
ওয়েব ডেস্ক: সাইবার ক্রাইমের শিকার বেশিরভাগ মানুষ। অনেক সময় সাইবার ক্রিমিনালদের হাত থেকে রেহাই পান না খোদ রক্ষকও। এমন ঘটনাও দুর্লভ নয় দেশে। সব থেকে বড় কথা হল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ক্রাইমের পরিমাণও যথেষ্ট বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু জানেন কি অনেক সময় আমাদের নিজেদের ভুলের জন্যই আমরা সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে থাকি? তবে এবার এক ঝলকে দেখে নিন কি কি ভুল করে আমরা সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে পড়ি...
১. সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বন্ধুত্ব বাড়ানো
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে বন্ধু বাড়ানোর একটা প্রবণতা সকলের মধ্যে দেখা যায়। এমনকি অপরিচিত ব্যক্তিকে নিজের প্রোফাইলে স্থান দিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনেক অনেকে। এই অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত খুঁটিনাটিও শেয়ার করে ফেলেন অনেকেই। যার ফলেই সাইবার ক্রাইমের শিকার হন তাঁরা।
২. অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করে
বন্ধুদের পাঠানো কোনও পরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করা। যেমন ধরুন, আপনার প্রোফাইলে আপনার বন্ধুর কাছ থেকে একটি অপরিচিত লিঙ্ক এসেছে। বন্ধুকে জিজ্ঞেস না করেই আপনি সেই লিঙ্কটিতে ক্লিক করলেন। এরপর দেখলেন আপনার প্রোফাইল হ্যাক হয়ে গিয়েছে। তাই অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করার আগে দুবার ভাবুন।
৩. ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি জানানো
অনেক সময় বন্ধু বাড়ানোর চক্করে অনেকেই নিজের ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি নিজের প্রোফাইলে দিয়ে দেন। এমনকি মেল আইডি সহ ফোন নম্বরও। এই বিবরণগুলি শেয়ার করে সাইবার ক্রিমিনালদের কাজ কিছুটা সহজই করে দেন অনেকেই।
৪. প্রাইভেসি সেটিং-কে গুরুত্ব না দেওয়া
নিজের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে দেওয়া প্রাইভেসি সেটিং-এর গুরুত্ব অনেকেই দেন না। তাই যে কোনও ব্যক্তির পক্ষেই প্রাইভেসি সেটিং দেখতে পাওয়া খুব সহজ হয়ে যায়। তাই প্রাইভেসি সেটিং-কে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। এমনকি নিজের ফটো যাতে অন্যকেউ ডাউনলোড করতে না পারে, তার জন্য ফটোতেই প্রাইভেসি লক করে দেওয়া উচিত।
৫. একই পাসওয়ার্ডের ব্যবহার
জিমেল, ফোন, ফেসবুক, ট্যুইটার, কম্পিউটারের লক সবেতেই একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা কখনওই উচিত নয়। বিভিন্ন ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং দরকার হলে প্রতি মাসে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত। না হলে কিন্তু সাইবার ক্রিমিনালদের কাজ কিন্তু অনেক সহজ হয়ে যাবে।
৬. সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার না করা
ফোন, কম্পিউটার এমনকি ট্যাবেতেও সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত। সিকিউরিটি সফটওয়ার ব্যবহার না করলে আপনার গ্যজেটগুলি নিশ্চিত থাকবে না।