নিজস্ব প্রতিবেদন- ধরুন আপনাকে অন্ধকার একটা কুঠুরিতে তিনদিন থাকার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হল। সেই চ্যালেঞ্জের একটাই শর্ত, আপনার কাছে স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট থাকবে না। পারবেন না হয়তো সেই চ্যালেঞ্জ কমপ্লিট করতে! কিন্তু শর্ত তুলে দিয়ে যদি বলা হয়, অন্ধকার ঘরে থাকবেন স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সমেত! তা হলে তো এমন চ্যালেঞ্জের কোনও মানেই নেই, তাই না! টাস্ক অতি সহজ হয়ে যাবে। আসলে স্মার্টফোন এখন আমাদের প্রিয় বন্ধু। স্মার্টফোন এখন আমাদের গল্পের বই। স্মার্টফোন আবার বন্ধু খোঁজার মাধ্যমও। আর এই স্মার্টফোন-ই হয়ে উঠেছে মনের যৌন খিদে মেটানোর আধার। না, একেবারেই হেঁয়ালি করা হচ্ছে না। স্মার্টফোন-এর মাধ্যমেই এখন দেশের ৬২ শতাংশ মহিলা মনের যৌন পিপাসা মেটাচ্ছেন বলে দাবি করা হয়েছে একটি সমীক্ষায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯১টি দেশের প্রায় এক লাখ ৩১ হাজার মহিলার উপর এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ২৩ হাজার ৯৩ জন ভারতীয় মহিলা। আর সেই ভারতীয় মহিলাদের ৬২ শতাংশ স্মার্টফোন হাতে নিয়ে মেতে থাকেন sexting-এ। অর্থাত্ পার্টনারের সঙ্গে যৌনতা মাখানো কথাবার্তা বলেন তাঁরা। এমনকী ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিয়ো স্মার্টফোন মারফত একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করেন তাঁরা। তবে সারা বিশ্বের মধ্যে sexting-এর চাহিদা সব থেকে বেশি উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের পশ্চিমাংশের মহিলাদের মধ্যে। এমনটাই জানাচ্ছে সেই সমীক্ষা। বহু মহিলা আবার অ্যাপ-এর মাধ্যমে পার্টনার খুঁজে নিতেও পছন্দ করেন বলে জানা যাচ্ছে। ভারতীয় মহিলাদে মধ্যে অবশ্য এই প্রবণতা বেশ কম। মাত্র ১৯ শতাংশ মহিলা অ্যাপ-এর মাধ্যমে অচেনা পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে চান।


ব্যস্ত জীবনে হাতে সময় কম। ব্যস্ততার চাপে যৌন জীবনও ধাক্কা খাচ্ছে। তবে কাজের মাঝেও sexting মনের চাপ হালকা করতে সাহায্য করে বলে দাবি করেছেন অধিকাংশ মহিলা। তবে অনেক মহিলা আবার জানিয়েছেন, তাঁরা স্রেফ মজার ছলেই sexting-এ অংশ নেন। কেউ কেউ আবার বলেছেন, শরীরের চাহিদাটাই শেষ কথা নয়। যৌনতায় মনে যে আলোড়ন ওঠে সেটা প্রশমিত করতে পারে sexting. 'Mobile sex-tech apps' নামের এই সমীক্ষা আরও জানিয়েছে,  প্রযুক্তির ব্যবহারে অধিকাংশ মহিলার যৌন জীবনের মানসিক অধ্যায় আগের থেকে বিকশিত হয়েছে। অর্থাত্, হাতের স্মার্টফোন এখন তাঁদের মনের যৌন খিদে মেটাতে সাহায্য করছে।