ওয়েব ডেস্ক: ছোট্ট প্রশ্ন। সঠিক উত্তর দিতে পারলেই ১ নম্বর। ছোট বেলায় পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্রের ছোট্ট প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যারা 'বড় বড়' নম্বর পেয়ে এসেছেন তাঁদের জন্য একটা ছোট্ট প্রশ্ন। ফেসবুকে কতধরনের মানুষ থাকে? চারটি বিকল্প! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এক- এক ধরনের মানুষ।
দুই- দুই ধরনের মানুষ। 
তিন- সাত ধরনের মানুষ।
চার- এদের মধ্যে একটিও না। 


এই মুহুর্তে প্রতিবেদনের প্রশ্ন থেকে জানা সম্ভব হচ্ছে না আপনার মনে মনে যে উত্তরটা রয়েছে সেটা সঠিক কিনা! তবে যদি আপনি তিন নম্বর বিকল্প বেঁছে থাকেন অর্থাৎ সাত ধরনের মানুষ ফেসবুকে থাকে, এটাই যদি আপনার উত্তর হয়ে থাকে তাহলে আপনার উত্তর সঠিক। এবার নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে হঠাৎ সাত ধরনই কেন? আর এই সাত ধরনে কারা কারা আছেন? একে একে উত্তর লেখা হল, মিলিয়ে নিন- 


অভিধানধর্মী মানুষ
এরা আপনার প্রোফাইলের ব্যাকরণ নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। কোনও পোস্টের ছোট ছোট ভুল এদের কাছে সাংঘাতিক বিষয়। এই ধরনের মানুষ নিজেকে সুপিরিয়র মনে করেন। 


রাগী মানুষ 
এই ধরণের মানুষ এখন ফেসবুকে সব থেকে বেশি। রীতিমত জাঁকিয়ে বসেছেন। বিপ্লব থেকে আন্দোলন, সমস্ত না পাওয়া ফেসবুকে উজাড় করার প্রবণতা এই ধরনের মানুষের আছে। তাঁদের কাছে ব্যক্তিগত বলে কোনও বিষয় থাকে না। সবটাই পাবলিক। 'জনস্বার্থে' তাঁরা নিজের গোপনীয়তা বিসর্জন দিয়ে থাকেন।



রাজনৈতিক 'বিজ্ঞ'
'অজ্ঞ আমি, বিজ্ঞতম তুমি'। কেউ কিছুই জানেনা, আর সব ইনিই জানেন। কিউবায় সমাজতন্ত্রের পতাকা কতাটা পতপত করে উড়ছে, তা তার জানা। ফিদেল কাস্ত্রো দিনে কটা চুরুট খান সেটাও অজানা নয়। আরও জানা আমেরিকার রাষ্ট্রপতি কোন বাথরুমে টয়লেট করেন। আর এই সব জানাই জানাতে হবে ফেসবুকের দেওয়ালে। জানান দিতেই হবে আমি কত জানি, আহা, দেখো আমার মত কেউই জানেনা। 


কমেন্টেটর
প্রোফাইল যারই হোক! চেনেন অথবা নাই বা চেনেন, কমেন্ট মাস্ট। ছবি হোক কিংবা পোস্ট, একটা কমেন্ট করতেই হবে। না হলে তো ফেসবুক করা যথার্থ হবে না। বন্ধুর বন্ধু খুঁজে বন্ধু বানাতেও এরা আগ্রহী। 


অত্যধিক হাসিখুশি বাসিন্দা
এনার আবার কিছুতেই কিছু যায় আসে না। ধরুন ভূমিকম্প হচ্ছে, ইনি ব্যস্ত হয়ে যাবেন সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য। এই দেখো আমি ভূমিকম্পের সঙ্গে সেলফি তুলেছি এটাও হয়ত থাকবে ক্যাপশনে। 


অংশগ্রহণকারী
সকালে ব্রাশ করে ফেসবুক পোস্ট। ব্রেক ফাস্টে বিস্কুট, চা আর খবরের কাগজ নিয়ে পোস্ট। অফিস কিংবা কলেজে যাওয়ার সময় ট্রেনে বাসের যানজট, সেটার পোস্ট। লাঞ্চে কতটা খেলেন, কেমন ছিল খাওয়ার পর অনুভূতি সবটাই যেন দেওয়াল লিখন। এরা আসলে সবেতেই একটা অংশগ্রহণকারীর ভূমিকা পালন করেন। 


নিশ্চুপ দর্শক 
সবই গিলছেন। পোস্ট থেকে শেয়ার, কি চলছে ট্রেন্ড, অজানা নেই কোনটাই। অথচ নিজের কোনও সক্রিয় ভূমিকাই এনাদের থাকে না। 'সাইলেন্ট অবসার্ভার'। নিশ্চুপ দর্শক।