নিজস্ব প্রতিবেদন: মধু একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এতে রয়েছে একাধিক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। মধুর স্বাস্থ্যগত উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি আমরা সবাই জানি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মধু ও দারচিনির মিশ্রণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। পিত্ত থলির সংক্রমণ রোধ করতে, বাতের ব্যথায়, মুখের দুর্গন্ধ কাটাতে, এমনকি শরীরের বাড়তি ওজন কমাতেও মধু খুবই কার্যকরী উপাদান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রাচীন কাল থেকেই গ্রিস ও মিশরে ক্ষত সারানোর কাজে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধু কখনও নষ্ট হয় না। প্রশ্ন হচ্ছে, কি করে জানবেন যে মধু আপনি খাচ্ছেন, সেটি খাঁটি কিনা? এখন বাজারে নানান রঙের মোড়কে মধু পাওয়া যায়। সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নাম দিয়ে ভেজাল, রাসায়নিকযুক্ত উপাদান বিক্রি করাও এখন খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। শুধু তাই নয়, অনেক নামী সংস্থার প্রক্রিয়াজাত মধুতেও মেলে ভেজাল। আসুন, জেনে নেয়া যাক খাঁটি মধু চিনে নেয়ার কয়েকটি সহজ উপায়।


১) মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, এতে কোনও ঝাঁঝালো ভাব থাকবে না।


২) মধুতে কখনও কটু গন্ধ থাকবে না। খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি ও আকর্ষণীয়।


৩) এক টুকরো ব্লটিং পেপার নিন, তাতে কয়েক ফোঁটা মধু দিন। যদি কাগজ তা সম্পূর্ণ শুষে নেয়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।


৪) শীতের দিনে বা ঠান্ডায় খাঁটি মধু দানা বেঁধে যায়।


৫) একটি মোমবাতি নিয়ে সেটির সলতেটি ভালভাবে মধুতে ডুবিয়ে নিন। এবার আগুন দিয়ে জ্বালাবার চেষ্টা করুন। যদি জ্বলে ওঠে, তাহলে বুঝবেন যে মধু খাঁটি। আর যদি না জ্বলে, বুঝবেন যে মধুতে জল মেশানো আছে।


৬) বেশ কিছুদিন ঘরে রেখে দিলে মধুতে চিনি জমতেই পারে। কিন্তু যদি বয়াম-সহ মধু গরম জলে কিছু ক্ষণ রেখে দেখুন। এই চিনি গলে মধু আবার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কিন্তু নকল মধুর ক্ষেত্রে এটা হবে না।


৭) এক টুকরো সাদা কাপড়ে মধু মাখান। আধ ঘণ্টা রাখুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি দাগ থেকে যায়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।


৮) গ্লাসে বা বাটিতে খানিকটা জল নিন। তার মধ্যে এক চামচ মধু দিন। যদি মধু জলের সঙ্গে সহজেই মিশে যায়, তাহলে বুঝবেন যে এটা অবশ্যই নকল। আসল মধুর ঘনত্ব জলের চাইতে অনেক বেশী, তাই তা সহজে মিশবে না। এমনকি নাড়া না দিলেও মধু জলে মিশবে না।