আজ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১২৯তম তিরোধান (প্রয়াণ) দিবস। ১ জুন, ১৮৯০ সালে (১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১২৯৭ বঙ্গাব্দ) তিনি দেহত্যাগ করেন। তাঁর আবির্ভাবের মতো এই দিনটিকেও অত্যন্ত ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন ভক্তরা। আসুন লোকনাথ ব্রহ্মচারী সম্পর্কে কয়েকটি আশ্চর্য তথ্য ও জনশ্রুতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) ৩১ আগস্ট, ১৭৩০ সালে (১৮ ভাদ্র, ১১৩৭ বঙ্গাব্দ) কলকাতার অদূরে উত্তর ২৪ পরগণার চৌরাশি চাকলা গ্রামের (মতান্তরে উত্তর ২৪ পরগণার কচুয়ায়) এক ব্রাহ্মণ (ঘোষাল) পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লোকনাথ ব্রহ্মচারী। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান।


২) লোকনাথ ব্রহ্মচারীর দীক্ষাগুরু ছিলেন ভগবানচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়। ভগবানচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর হিন্দু দার্শনিক, সাধক ত্রৈলিঙ্গস্বামীর তত্বাবধানে যোগসাধনা চালিয়ে যান তিনি।


৩) লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জন্মভিটে নিয়ে তাঁর ভক্তদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। জন্মভিটে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও চলেছে দীর্ঘদিন। শেষে মামলায় জয়ী হন নিত্যগোপাল সাহা। আর মামলার রায় অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণার কচুয়াকেই লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জন্মভিটে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।


৪) লোকনাথ ব্রহ্মচারীর যে ছবিটি আমরা দেখতে অভ্যস্থ, সেটি একটি ফটোগ্রাফ। ছবিটির মাপ ৫ ইঞ্চি X ৩ ইঞ্চি। ওটি তোলা হয় তত্কালীন এক ভাওয়াল রাজার উদ্যোগে। বর্তমানে বাংলাদেশের গাজীপুর জেলায় রয়েছে এই ভাওয়াল রাজবাড়িটি।


৫) লোকনাথ ব্রহ্মচারীর এই ছবিটি থেকে ছবি আঁকানোর সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার বিখ্যাত নাগ পরিবারের প্রেমরঞ্জন নাগের স্ত্রী রেণুকাদেবী। তিনি এই ছবিটি আঁকার বরাত দেন ঢাকার শিল্পী দুর্গেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শোনা যায়, নানা বাধা ও অলৌকিক কারণে ছবিটি আঁকা সম্পূর্ণ হতে প্রায় দেড়-দু’বছর সময় লেগে যায়।


৬) প্রায় ১৩০ বছর আগে আঁকা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ওই ছবিটিই ক্রমশ জনপ্রিয় হয় এবং বর্তমানে তাঁর যে ছবিগুলি আমরা দেখি, সেগুলি ওই ছবিটির অনুকরণেই পরবর্তীকালে আঁকা হয়।


৭) দুর্গেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর প্রথম ছবিটি বর্তমানে রয়েছে রেণুকাদেবীর দৌহিত্র অভিজিৎ রুদ্রর সল্টলেকের বাড়িতে।


তথ্যসূত্র: দ্য ওয়াল, উইকিপিডিয়া।