ওয়েব ডেস্ক : সাবধান। সামান্য বাঁশও হয়ে উঠতে পারে দুর্মূল্য। কারণ বাঁশ নিয়ে এখন রীতিমতো গবেষণা চলছে মার্কিন মুলুকে। ভবিষ্যতে হাইরাইজের ঘরের মেঝের দেওয়াল ও মেঝে তৈরিতে কাজে লাগতে পারে বাঁশ। কীভাবে কাজে লাগতে পারে বাঁশ?  আসুন জেনে নিই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাটির বাড়ি তৈরি থেকে গ্রামের রোজকার জীবনে প্রতিদিন দরকার পড়ে বাঁশ। আমাদের মত দেশে বাঁশের ব্যবহার কয়েক হাজার বছরের পুরনো। পান্ডার খাবার হিসেবে কাঁচা বাঁশের ব্যবহার চিনে এবং বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় খুবই জনপ্রিয়। সেই সস্তার বাঁশের ওপরেও এবার নজর পড়েছে বিজ্ঞানীদের। বড় বড় বিল্ডিং তৈরিতে বাঁশ ব্যবহার করা যায় কিনা সে নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে খোদ আমেরিকার পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। গবেষকদের  নজরে এসেছে তিনটি বিশেষ ধরনের বাঁশ, যেগুলি ইস্পাতের মতই শক্ত। ল্যাবরেটরিতে নিয়ে এসে চাপ দিয়ে দেখা হচ্ছে কতটা ভার সহ্য করতে পারে এধরনের বাঁশ। পোক্ত প্রমাণিত হলে হাইরাইজের ঘরের দেওয়াল ও মেঝে এধরনের বাঁশ দিয়ে তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বিজ্ঞানীদের। বিজ্ঞানীদের দাবি বাড়ি তৈরির উপকরণ হিসাবে বাঁশ ব্যবহারের সুবিধা অনেক বেশি।


আরও পড়ুন-কী কারণে কলার গঠন এরকম হয় জানেন?


কুড়ি মিটারের বেশি লম্বা শক্তপোক্ত বাঁশ অনেক বেশি ভার বইতে পারে। বাঁশ জন্মায় প্রতি তিন বছর অন্তর। বাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত সফটউড যে সব গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়, সেগুলি তৈরি হতে দশ বছর সময় লাগে। বাড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় হার্ড উডের গাছ তৈরি হতে সময় লাগে ৩০ বছর। ফলে উঁচু বাড়ি তৈরিতে দীর্ঘ সময়ের জন্য ধ্বংস হয় অরণ্য। বাঁশের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটে না।
 
বড় নির্মাণ সংস্থাগুলি এখনই নির্মাণশিল্পে বাঁশের ব্যবহারে উত্‍সাহী নয়। তবে পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কেন্ট হ্যারিসের বক্তব্য, বাঁশ গরিবের বাড়ি তৈরির উপকরণ, এই ধারণা থেকে এবার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।


দামে শস্তা, দ্রুত জন্মায় ও বাড়ে, অরণ্য ধ্বংস হয় না, এসব কারণে বিজ্ঞানীদের কাছে ক্রমশ বেশি পছন্দের হয়ে উঠেছে বাঁশ। আগামী দিনে হাইরাইজ তৈরিতেও বাঁশ ব্যবহার শুরু হবে কিনা তা অবশ্য নির্ভর করবে বিজ্ঞানীদের গবেশণার ওপর।