রকবাজির নতুন ঠেক `ব্যান্ড-ও-ম্যানিয়াক`
হরিদেবপুর: শুরু করা যাক, শেক্সপিয়ারের সেই অমোঘ বাণী দিয়েই, "যখন শব্দ ব্যর্থ হয় তখনই কথা বলে গান"। কালে কালে, যুগে যুগে একথা সর্বৈব সত্য এবং ধ্রুবতারার ন্যয় উজ্জ্বল। সেদিনও যখন পল রবসন, জন হেনরিদের শব্দ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, কথা বলেছিল গান। "...ওরা আমাদের গান গাইতে দেয় না, নিগ্রো ভাই আমার, পল রবসন", সেদিন সঙ্গীতে সঙ্গীতে বিল্পব সংগঠিত হয়েছিল এই সুরেই। সে না হয় এক দীর্ঘ ইতিহাস। এক তৃণ'র মহীরুহ হয়ে ওঠার ইতিহাস। বদলেছে যুগ, বদলেছে ভাষা, বদল হয়েছে শিল্পের। কালান্তর পেরিয়ে বিশ্ব এখন আরও এক কালান্তরের সম্মুখীন। 'মঞ্চ দাও, একটা গান গাইব...', একথা শোনার কেউ নেই! কথায় কথায় কবিতা দিয়ে গান তৈরি, গিটারের স্ট্রিংয়ে 'সুর'সুরি, আঙুলগুলো প্রায়ই ঝড় তোলে কিবোর্ডে, অথচ মঞ্চ দেওয়ার মত কেউ নেই। হতাশা বুকে চেপে নিয়ে হৃদয়ের দাবানল গুলো নিভন্ত ছাই হওয়ার আগে একটা শেষ লড়াই ওদের তাতিয়ে তুলেছিল। এটাই তরুণ রক্তের তেজ। কথা বলার ইচ্ছে, গান গাওয়ার প্যাশন পাঁচিলের মধ্যে থেকে জন্ম নেওয়া বটের মতই ফুঁড়ে বেড়িয়ে এক দল তরুণ, ঠিক করল নিজেরাই মঞ্চ তৈরি করবে, নিজেরাই গান গাইবে। আর স্বপ্ন যখন ঘুমোতে দেয় না, তখন তা সফল করা ছাড়া উপায়ও থাকে না। নিজেদের প্রচেষ্টাতেই তৈরি হল মঞ্চ, নাম 'ব্যান্ড ও ম্যানিয়াক'। আর সেই মঞ্চেই গান গাইল দ্বাবিংশের ষোলোটি ব্যান্ড।
বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ এক রকবাজির ইচ্ছে পূরণের জন্য সেদিন যারা হাতে গিটার নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল, আজ তাদের গান গাওয়ার মঞ্চ হয়ে উঠল 'ব্যান্ড ও ম্যানিয়াক'। অদ্ভূতম, অ্যাসিড ফ্ল্যাশব্যাক, তারকাটা, স্কালচার, প্রস্তর, অক্সিজেন, কলকাতা সিটি গ্যাংস্টার, টম্ব অব লুসিফার, সপ্তসুর, হিডেন ট্রুথ, হুল্লোড়, দোতারা, ম্যানগ্রোভ, অভিষেক অ্যান্ড ফ্রেন্ড, রোহন লাইভ, ঈশিতা বৈদ্য লাইভ এরা প্রত্যেকেই 'ব্যান্ড ও ম্যানিয়াক'-এ নিজেদের কথা বলল, নিজেদের গান গাইল। আর যারা সঙ্গ দিলেন, তারা হলেন ক্যাকলকাটা ব্লুস-এর ইমন সেন, ইন্ডিয়ান আইডল খ্যাত দিলাসা চৌধুরী এবং এসআর প্রোডাকশনের সৌরভ রক্ষিত।