ওয়েব ডেস্ক: বার টেন্ডার অফ দ্য ইয়ার। অর্থাত্‍ বিশ্বের সেরা পানশালা কর্মীর পুরস্কার। ছেলেদের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতায় সেরার সেরা হলেন এক মহিলা। ফ্রান্সের জেনিফার লে নিশে। আবারও প্রমাণ করলেন, পুরুষদের থেকে কোনও অংশেই কম নয় নারীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মায়াবী নীল আলো। DJ-র রকিং মিউজিক। ডান্স ফ্লোরে যৌবনোচ্ছ্বাসের ভরপুর প্রকাশ। যে কোনও নাইট ক্লাব কিম্বা পানশালায় এটাই চিরায়ত চিত্র। উন্মাদনার জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেন সেখানকার কর্মীরাও। শুধু অতিথিদের গ্লাসে উষ্ণতা পৌছে দেওয়াই নয়। কখনও আগুন নিয়ে খেলা তো কখনও বোতল নিয়ে জাগলারি। পানশালা কর্মীদের রকমসকমও নজরকাড়া, শুধু পুরুষরাই নন এই পেশায় যুক্ত মহিলারাও হাতের কারসাজিতে সমান পারদর্শী।


আরও পড়ুন- জানুন চা-কফি কীভাবে আমাদের ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়


অথচ তাঁদের এই শিল্পকলা যেন সকলের অলক্ষেই থেকে যায়। তাই ২০০৮ সাল থেকে পানশালা কর্মীদের শ্রেষ্ঠত্ব বিচার করে, তাঁদের পুরস্কৃত করে বিশ্বের জনপ্রিয় একটি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা। সেখানে বার টেন্ডারদের খুব কম সময়ে পানীয় তৈরির দক্ষতা, নিখুত পরিবেশন এবং মানসিকতা বিচার করা হয়।


৮ বছর ধরে এই প্রতিযোগিতা চলছে। চলতি বছর প্রাথমিক পর্বে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্য এশিয়া, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মোট ১০ হাজার প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে ৫৬টি দেশের প্রতিযোগীকে বেছে নেওয়া হয়। চার দিন ধরে মায়ামি বিচের একটি রিসর্টে বিচারকদের সামনে নিজেদের দক্ষতা জাহির করেন প্রতিযোগীরা। সেখান থেকেই চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হন ছজন। শেষবেলায় সকলকে ছাপিয়ে সেরার সেরা হলেন ফ্রান্সের জেনিফার লে নিশে। ২৯ বছরের এই তরুণীর পারফর্ম্যান্সে খুশি আয়োজকরা। জেনিফার লে নিশে নিজে জানালেন, "প্রথম মহিলা হিসেবে আমি এই প্রতিযোগিতা জিতলাম। আমি তারজন্য প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছিলাম"।


আরও পড়ুন- শিশু ও টিভি


চূড়ান্ত পর্বের জন্য মিয়ামির একটি ফিল্ম স্টুডিও ভাড়া নিয়েছিল ওই সংস্থা। সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যেক প্রতিযোগীকে একটি ক্ষুদ্র পানশালা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। সব কাজেই পুরুষ প্রতিযোগীদের থেকে এক কাঠি এগিয়ে ছিলেন বাস্তিলের একটি পানশালার এই মহিলাকর্মী।