সাতটা এমন আজব পেশা যাতে রোজগার অনেক
আপনি কী আপনার পেশা বা চাকরিতে একটু হাঁফিয়ে উঠেছেন?কিংবা নতুন কিছু করতে চান?তাহলে জেনে নিন দুনিয়ার এমন কিছু আজব পেশা বা ব্যবসার কথা যা সত্যি ব্যতিক্রমী।
১) ক্ষমা চাওয়া পরিষেবা--আমি ভুল করেছি, আমায় ক্ষমা করে দাও। এই কথাটা বলার ইচ্ছা হয়েছে, কিন্তু বলতে পারছেন না! চিন্তা নেই আপনার হয়ে সরি, বা ক্ষমা চেয়ে নেবে এক সংস্থা। জাপানের এক এজেন্সি আছে যারা মানুষের কাছে শুধু ক্ষমা চেয়ে ব্যবসা করে। সেই সংস্থার কাছে যোগাযোগ করলে জাপানের যে কোনও মানুষের কাছে তারা আপনার হয়ে ক্ষমা চেয়ে নেয়। এদের পারিশ্রমিক কিন্তু বেশ চড়া। যতই হোক ক্ষমা কী আর সস্তায় হয়!!!
২) শুধু খেয়ে যাওয়া--Mukbang বা gastronomic voyeurism হল দক্ষিণ কোরিয়ার এমন এক অনলাইন অ্যাকটিভিটি যেখানে খাওয়ার ভিডিও আপলোড করতে হয়। বিভিন্ন পদ শুধু খেয়ে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হয়। শুধু খেয়ে ভিডিও আপলোড করে মাস গেলে ১০ হাজার ডলার বা প্রায় ৬ লক্ষ টাকা রোজগার করা যায়।
৩) মিছে মিছে বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড সাজা--কারও হয়তো বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড নেই। তাদের সঙ্গী হওয়ার এক পরিষেবা হল 'Fake Relationship Service'। কী গো কেমন আছো! কী করছো! এভাবে সম্পর্ক এগোতে থাকে। ফোন বা নেটের মাধ্যমে। তবে কখনই দেখা সাক্ষাত্ হয় না। এই পরিষেবা যারা দেন তাদের সবসময় ছায়া প্রেমিক বা ছায়া প্রেমিকা হয়েই থেকে যেতে হয়। তা মিছিমিছি প্রেমিক বা প্রেমিকা হয়ে মাস গেলে লাখ ছয়েক টাকা রোজগার নিশ্চিত।
৪) ব্যবহৃত অন্তর্বাস বিক্রি করা--হ্যাঁ, যে কেউ নিজেদের অন্তর্বাস বেচতে বা কিনতে পারে এখথান থেকে। এই সংস্থার কাজই হল ব্যবহৃত অন্তর্বাস ক্রয়-বিক্রয় করা। ই বে-র সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই ব্যবসা বেশ রমরমিয়ে চলছে।
৫) মৃত মানুষের ছাই দিয়ে পোট্রেট বানানো--প্রিয়জন মারা গিয়েছেন। তাঁর স্মৃতিতে সবাই তো আর তাজমহল বানাতে পারেন না। তখন মৃত মানুষের ছাই দিয়ে পোট্রেট করে ঘরে সাজিয়ে রাখা হয়। এই শিল্প যারা করেন তাদের চাহিদা খুব। ছাইকে থ্রি প্রিন্টেড টেকনলজির মাধ্যমে পোট্রেটে পরিণত করা হয়।
৬) মিছিমিছি অপহরণকারী--মানুষের শখ যেমন ভারী অদ্ভুত। শখের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তেমন ব্যবসাটাও ভারী অদ্ভুত। এই যে এক্সট্রিম কিডন্যাপিং। বিদেশে অনেকেই বোরিং জীবন থেকে মুক্তি পেতে কিডন্যাপ হতে চান। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন অপহৃত হতে চান। এদের চাহিদা হল কেউ ওদের মুখ বেধে, হাত বেধে অপহরণ করে নিক। বাড়ির লোক টেনশনে পড়ুক। এতে যদি তাদের প্রতি একটু নজর আসে বাড়ির লোকেদের। ফোন করলেই হাজির হয়ে যাবে এক্সট্রিম কিডন্যাপার বা মিছিমিছি অপহরণকারীরাJ
৭) মুখে চড় মারা--মুখে চড় মেরে ফেসিয়াল করা। হ্যাঁ, একবার বাঁ গালে চড় মারলে, ডান গাল বাড়িয়ে দেয় মানুষ। ঠিক গান্ধীজির কথা মত। চড় মারাটাই এদের পেশা। রোজগার অনেক।