সকালের ব্রেকফাস্ট মানেই পাউরুটি? ক্ষতির তালিকা জানলে সিদ্ধান্ত বদল হতে পারে
আসুন দেখে নেওয়া যাক পাঁউরুটির নানা পদ খেতে খেতে নিজের শরীরের কীভাবে বারোটা বাজাচ্ছেন আপনি?
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাউরুটিতে মাত্রাতিরিক্ত পটাসিয়াম ব্রোমেট,পটাসিয়াম আয়োডেট রয়েছে অভিযোগ ওঠার পরই অভিযান শুরু করে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু জানেন কি, পাউরুটি এমনিতেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর? ব্রেকফাস্ট মানেই বাটার টোস্ট, স্যান্ডউইচ। আর টিফিনে পাওভাজি কিংবা ফ্রেঞ্চ টোস্ট বা ডিম পাঁউরুটি। আসুন দেখে নেওয়া যাক পাঁউরুটির নানা পদ খেতে খেতে নিজের শরীরের কীভাবে বারোটা বাজাচ্ছেন আপনি?
প্রথমেই আসা যাক পাঁউরুটি তৈরির কথায়। অনেকেই মনে করেন পাঁউরুটির আটা পা দিয়ে মাখা হয়। ধারণাটা একেবারেই সঠিক নয়। অত্যাধুনিক মেশিনেই মাখা হয় পাঁউরুটির আটা।
পাঁউরুটি তৈরির সময় অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান বাদ চলে যায়।
আটার নিজস্ব একটা গন্ধ রয়েছে। সেই গন্ধ থাকলে একেবারেই সুস্বাদু হবে না পাঁউরুটি। সেই গন্ধকে সরাতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভার, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
ধবধবে সাদা দেখাতে পাঁউরুটিকে ব্লিচ করা হয়। এই পদ্ধতিটিও শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক।
যে সব শস্য দিয়ে পাঁউরুটি তৈরি হয়, তা খেলে পরে অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আঠালো হওয়ার জন্য পাঁউরুটি হজম হতে অনেক সময় লাগে।
পাঁউরুটির খেলে শরীরে জমা হতে পারে কার্বোন ডাই অক্সাইড ও ব্রোমাইন জাতীয় বিষাক্ত যৌগ।
পাঁউরুটিতে থাকে অনেক বেশি লবণ ও সোডিয়াম যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।
লবণ, রিফাইন্ড চিনি ও প্রিজারভেটিভস থাকায় পাঁউরুটি খেলে ওজন বাড়ে।
তাহলে কী ভাবছেন? এবার থেকে আর পাঁউরুটি খাবেন না? ব্রেকফাস্ট কিংবা টিফিনে একেবারেই তাহলে বন্ধ করে দেবেন পাঁউরুটি? সিদ্ধান্ত আপনার হাতে।