নিজস্ব প্রতিবেদন: জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দ্রুত বদলে যাচ্ছে আন্টার্কটিকার চেনা ছবিটা। প্রতি বছরই জুন থেকে অগস্টের মধ্যে আন্টার্কটিকায় বরফ গলতে থাকে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ৩৬০ গিগাটন বরফ গলার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিলিমিটার বৃদ্ধি পায়। উষ্ণায়নের প্রভাবে যে ভাবে দিনের পর দিন বরফ গলার পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে রীতিমতো শঙ্কিত বিশ্বের পরিবেশবিদরা। একই কারণে হিমবাহের উপরে বরফ গলে একটি হ্রদ তৈরি হয়েছে। আর সেই হ্রদেই সাঁতার কেটে ধ্বংসের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া পৃথিবীর সম্পর্কে সচেতনার বার্তা দিলেন পঞ্চাশ বছর বয়সী ব্রিটিশ আবহাওয়াবিদ লুইস পু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৩ জানুয়ারি তিনি একটি হিমবাহের হ্রদে প্রথম সাঁতার কেটেছিলেন। তিনি জানান, আন্টার্কটিকায় বরফের চাদরের নিচে সাঁতার কাটতে গিয়ে তিনি বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। আন্টার্কটিকায় বরফের চাদর ক্রমশ পাতলা হয়ে আসছে, যা নিয়ে রীতিমতো শঙ্কিত লুইস।



গত বছর জুন মাসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২ বিলিয়ান টন (যা প্রায় ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৪৩৭ কোটি কিলোগ্রাম) ওজনের পাহাড়-সমান বরফের চাঁই গলে যাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন পরিবেশবিদরা। এই প্রসঙ্গে জর্জিয়া ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞানী গবেষক থমাস মোটি জানান, হঠাৎ করে এই বিপুল পরিমাণ বরফ গলে যাওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক হলেও নতুন নয়। তিনি জানান, বিগত প্রায় দু’ দশক ধরে গ্রিনল্যান্ডের ধারাবাহিক ভাবে বরফ গলে যাওয়ার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিন্তার বিষয় হল, এই বরফ গলার পরিমাণও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।


আরও পড়ুন: ২৭ বছর আগেই করোনা ভাইরাসের ছড়ানোর পূর্বাভাস দিয়েছিল এই কার্টুন ধারাবাহিক!


ব্রিটিশ আবহাওয়াবিদ লুইস পু জানান, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে এক গবেষণার দ্বারা আতঙ্কিত হয়েছিলেন তিনি। ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ নামের পত্রিকায় পূর্ব অ্যান্টার্কটিকায় ৬৫ হাজারেরও বেশি ‘সুপার গ্লাসিয়াল’ হ্রদ আবিষ্কার হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পুগ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে দ্রুত গতিতে জলবায়ু পরিবর্তণ হয়ে চলেছে, যার ফলে হিমবাহ গলতে শুরু করে দিয়েছে। লুইস জানিয়েছেন, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি তাত্ক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নিতে চান। তাই পৃথিবীর এই বিপর্যয় সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই সাঁতারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। লুইস বলেন, “আমাদের সকলের এই মুহূর্তেই সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ, ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে গোটা পৃথিবী। ভয়ানক এক পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে চলেছে গোটা বিশ্ব।”