Buddha Purnima 2022: এক বয়স্ক ব্যক্তি, একজন অসুস্থ, এক মৃত এবং এক সন্ন্যাসী চিরতরে বদলে দিল রাজকুমার সিদ্ধার্থকে
১৬ বছর বয়সে তিনি শাক্য বংশের কন্যা যশোধরার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান জন্মায়। তার নাম রাহুল। এরপর ১৩ বছর তিনি সংসারী জীবন যাপন করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ ১৬ মে বুদ্ধপূর্ণিমা। দিনটি সারা পৃথিবীতে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হচ্ছে। এদিন গৌতমবুদ্ধের জীবনের দিকে আর একবার ফিরে তাকানোই চলে। এমন মহৎ বিপুল ব্যাপক একটি জীবন তাঁর যে, তা অনুধাবন করা কঠিন। কিন্তু তাঁর জীবনকাহিনির চর্চাটা আমাদের নানা ভাবে সমৃদ্ধ করতে পারে।
গৌতম বুদ্ধের পূর্বনাম ছিল সিদ্ধার্থ। জন্মের কিছুদিন পরেই তাঁর মা মারা যান এবং তাঁকে তাঁর মাসি গৌতমী লালনপালন করেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি শাক্য বংশের কন্যা যশোধরার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান জন্মান। তার নাম রাহুল।
কিন্তু সিদ্ধার্থ কোনও ভাবেই সংসারে আবদ্ধ থাকতে চাননি। তিনি জীবন ও জগৎ নিয়ে ভাবতেন। সকলেই জানেন, এই সময়-পর্বে বুদ্ধের জীবনে চারটি বিষয়ের গভীর ব্যাপক প্রভাব ছিল: একজন বয়স্ক ব্যক্তি, একজন অসুস্থ ব্যক্তি, এক মৃতমানুষের শেষযাত্রা এবং এক সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী। তিনি একদিন রথে করে নগর পরিক্রমায় বেরিয়েছিলেন। এ সব দৃশ্য দেখে তিনি তাঁর সারথিকে জিজ্ঞেস করলেন। সরাথি বললেন, মানুষ বৃদ্ধ হলে অসুস্থ হন, অসুস্থ হয়ে মারা যান। একমাত্র সন্ন্যাসীই মৃত্যুকে অতিক্রম করে যান। এই কথা শুনে সিদ্ধার্থ তখনই ছিক করলনে, তিনি সন্ন্যাস নেবেন। একরাতে স্ত্রী ও সন্তানকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে প্রাসাদ ছেড়ে চলে যান। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থে এই গৃহত্যাগকে 'মহাভিনিষ্ক্রমণ' নাম দেওয়া হয়েছে।
গৃহত্যাগের পরে সিদ্ধার্থ এক নদীতীরে মাথা মুণ্ডন করেন এবং কাষায় বস্ত্র পরিধান করেন। এরপর তিনি প্রায় ৭ বছর ঘুরে বেড়ান। প্রথমে বৈশালী, পরে বোধগয়া চলে যান। ৬ বছরের কঠোর তপস্যার পরে ৩৫ বছর বয়সে সিদ্ধার্থ নৈরঞ্জনা নদীর তীরে একটি বটগাছের নীচে বোধিপ্রাপ্ত হন। এই দিন থেকে তিনি তথাগত হন। বুদ্ধত্ব লাভের পর গৌতম 'বুদ্ধ' নামে প্রসিদ্ধ হন। গৌতম বুদ্ধ সারনাথে এসেছিলেন। এরপরই তিনি সঙ্ঘের কথা ভাবতে থাকেন। বুদ্ধ তাঁর জীবনের প্রথম ধর্মোপদেশ দেন শ্রাবস্তীতে। তিনি মগধকেও নিজের প্রচারকেন্দ্রে পরিণত করেন।
বৌদ্ধ ধর্মে আত্মার কোনো ধারণা নেই। বৌদ্ধ ধর্মের দরজা সকল বর্ণের জন্য উন্মুক্ত। বৌদ্ধ সঙ্ঘের সংগঠন প্রজাতন্ত্রী ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে গঠিত। বৌদ্ধদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ উৎসব 'বৈশাখী পূর্ণিমা' যা 'বুদ্ধ পূর্ণিমা' নামে পরিচিত। এর গুরুত্ব এই কারণে যে, এই দিনেই বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং লাভ করেছিলেন মহাপরিনির্বাণ।
আরও পড়ুন: Chandra Grahan: চন্দ্রগ্রহণের সময়ে এই ৭ কাজ দূর করবে সমস্ত অশুভ ও অমঙ্গল; জানেন কী করতে হবে?