নিজস্ব প্রতিবেদন: "মিষ্টি মুখ হয়ে যাক"। একটি জনপ্রিয় চকোলেট প্রস্তুতকারী সংস্থার এই বিজ্ঞাপনী লাইন জনপ্রিয়তাই বুঝিয়ে দিয়েছিল বঙ্গ জীবনে চকোলেট প্রম ঠিক কতটা গভীর। এখন বাঙালির খাদ্য তালিকাতেও চকোলেট হট ফেভারিট। আর গোটা বিশ্বে? আমেরিকা প্রতিবছর ১০ পাউন্ড চকোলেট খায়। সুইসরা খান বছরে প্রায় ২০ পাউন্ড। এইসব চকোলেটভুক মানুষদের জন্য একটি দুঃসংবাদ রয়েছে। পৃথিবীর চকোলেট ভান্ডার আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই নাকি শেষ হয়ে যাবে। এমনটাই দাবি করছে মার্কিন ন্যাশনাল ওসিয়ানিক এবং অ্যাটমস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বুদবুদই চিনিয়ে দেবে গুড ওয়াইন! বলছেন বিশেষজ্ঞরা


মার্কিন ওই সংস্থার একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, তাপমাত্রা যে হারে বেড়ে চলেছে আগামী ৩০ বছরে মধ্যে অবলুপ্ত হয়ে যাবে  কোকোয়া গাছ। সাধারণত পার্বত্য অঞ্চল এবং অধিক বৃষ্টিপাত হয় এমন এলাকায় কোকোয়া গাছ বেড়ে ওঠে। কোট দি'আইভরি, ঘানার মতো আফ্রিকার দেশগুলি থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ কোকো বিন রপ্তানি হয় গোটা বিশ্বে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এইসব অঞ্চলেই ইতিমধ্যে কোকো উত্পাদনের হার কমে গিয়েছে।


আরও পড়ুন- MRP মাস্ট! অনলাইনে কেনাকাটায় 'নতুন নিয়ম'


হার্ডম্যান অ্যাগ্রিবিজনেস ফার্মের বিজ্ঞানী ডগ হকিন্স বলেন, "অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং পরিবেশে কোকো চাষ হয় খুবই সামান্য। ৯০ শতাংশ কোকো পাওয়া যায় বনাঞ্চল থেকেই। উষ্ণায়নের প্রভাবে ক্ষতি হচ্ছে সে সব বনাঞ্চল।" হকিন্স আরও জানান, কয়েক বছরের মধ্যেই এক লক্ষ টন কোকো ঘাটতি দেখা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।


পরিস্থিতি এতটাই আশঙ্কাজনক যে বিশ্ব চকোলেট অর্থনীতিও বিষয়টি নিয়ে ভাবিত। তবে এখনও অনেকটাই সময় রয়েছে হাতে। ততদিন রসনা তৃপ্ত করে নিন। কিন্তু এসব জেনে, মিষ্টি মুখ কেমন যেন তেতো তেতো লাগছে, বলছেন চকোলেট প্রেমীদের একাংশ।