ওয়েব ডেস্ক: বাচ্চার সর্দি লেগেই আছে। ভাবছেন ঠান্ডা লেগেছে? কিংবা ওয়েদার চেঞ্জ? তেমন আমল দিচ্ছেন না? বড় ভুল করছেন। এখনই সামলান। পরামর্শ নিন চিকিত্সকের। নাহলে বিপদ। ঘনঘন সর্দিতে আপনার বাচ্চার কানে শোনার সমস্যা হতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাচ্চারা হাঁচছে। হেঁচেই চলেছে। সর্দি লেগেই রয়েছে। সঙ্গে কানে ব্যথা। ভোঁ ভোঁ, ফটফট আওয়াজ। কানে কি ইনফেকশন হল? হতেই পারে। একটি সমীক্ষা বলছে,


২ বছর বয়সে পৌছনোর আগেই ৯০ শতাংশ শিশুর অন্ততপক্ষে একবার কানে ইনফেকশন হয়। ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে কানের ইনফেকশন সবচেয়ে বেশি হয়। ৩ বছর বয়সের পর থেকে সাধারণত কানে ইনফেকশন কমতে থাকে।


আপনার বাচ্চা তো ৩ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ও কি হঠাত্‍ কানে কম শুনছে? কারণটা কী? আপনার গাফিলতি। কারণ, ঘনঘন সর্দিতেও কেয়ার করেননি আপনি। আপনি ভেবেছেন ওয়েদার চেঞ্জের কারণে সর্দি। কিন্তু সর্দি সারছে না কেন? ভাবছেন, ছোটদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কম থাকে। সে কারণেই সর্দি-কাশি। আমল দেননি। বিপদ ডেকে নিয়ে এসেছেন।


বাচ্চাদের ঘন ঘন ঠান্ডা লাগে। আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশন বেশি হয়। টিনসিলে ইনফেকশন হয়। সাইনোসাইটিস হয়। এডিনয়েড বেশ বড় হয়ে ইউস্টেশিয়ান টিউবের নরমাল কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায়। এসব কারণে প্রথম দিকে হঠাত্‍ কানে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। জ্বর  থাকে। এরপর কানের পর্দা ফুটো হয়ে জল বেরোতে পারে। এই সময় ঠিকমতো চিকিত্সা না করালে পর্দার ছিদ্রটি স্থায়ী হয়ে যায়। পরে কানে ইনফেকশন হয়ে কান থেকে জল এবং পুঁজ বেরোতে পারে। যার দীর্ঘস্থায়ী ফল কানে কম শোনা। ভবিষ্যতে শিশু বধির পর্যন্ত হতে পারে। চিকিত্সকদের দাবি, আরও মারাত্মক জটিলতা তৈরি হতে পারে। ব্রেন এবসেস, ম্যানিনজাইটিস, এনসেফ্যালাইটিস, ফেসিয়াল প্যারালিসিস পর্যন্ত হতে পারে। 


শিশুর ঠান্ডা লেগে থাকার সঙ্গে কানের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। নাকে ক্ষত হয়। নাক থেকে কানে ২টি টিউব চলে গেছে। এই টিউব দুটি কানের ভেন্টিলেশনের কাজ করে। ক্ষত ক্রমশ নাকের পিছনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। টিউবের মুখে পর্দায় ইনফেকশন হয়। পর্দা ফুলে গিয়ে কানের ভেন্টিলেশন বাধা পায়। কানে ব্যথা হতে থাকে। অনেক সময় জ্বরও হয়। ঠান্ডা লাগার সঙ্গে কানের ২টি টিউব বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। নাকের পিছনে এডেনয়েড মাংসখণ্ডে কোনও সমস্যা থাকলে বা স্বাভাবিক আকারের চেয়ে বড় হলে শিশুর ঠান্ডা লাগলেই কানে ব্যথা হয়। অনেক সময় নাকে সংক্রমণ না হলেও কানে সংক্রমণ হতে পারে। ভেন্টিলেশন টিউব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কানে পুঁজ জমতে পারে। শিশু কানে কম শুনবে। এমনকি বধির পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাই, শিশুর ঠান্ডা লাগাকে কোনওভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না। পরামর্শ নিতেই হবে চিকিত্সকের।