ওয়েব ডেস্ক: যাঁরা বিকল্প আয়ের কথা ভাবছেন, তাঁরা রঙীন মাছের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মূলধন লাগে কম। লাভের অঙ্কটা দ্বিগুণ। আসুন দেখে নেওয়া যাক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘরের শোভা বাড়িয়ে দেয় অ্যাকোরিয়ামের রঙীন মাছ। অনেকেই তাই ঘরে রঙীন মাছ রাখতে পছন্দ করেন। শুধু এ রাজ্যেই নয়, রঙীন মাছের চাহিদা গোটা দেশ জুড়েই। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুর এবং উদয়নারায়ণপুরে চলে রঙীন মাছের চাষ। এখানকার প্রতিটা ঘরেই আয়ের অন্যতম প্রধান উত্স রঙীন মাছ চাষ।


রঙীন মাছ চাষ করতে সর্বনিম্ন খরচ ২ হাজার টাকা। বছরে দশ গুণ লাভ পাওয়া যায় রঙীন মাছ চাষে। লম্বায় চার পাঁচ ফুট এবং চওড়ায় দুই তিন ফুট ছোট ছোট চৌবাচ্চা তৈরি করতে হয়। যাঁরা চৌবাচ্চা তৈরি করতে পারবেন না,  তাঁরা মাঝারি মাপের গামলাতেও রঙীন মাছ চাষ করতে পারেন। গোল্ড ফিস বা রেড মলি, ফাইটার বা কসবি, এ ধরনের রঙীন মাছের পরিচর্যা করতে খাটুনিও খুব একটা বেশি নয়।


মাছেদের খাবার ডাসনিয়া বা জলের পোকা। দেওয়া যেতে পারে ড্রাই ফুডও। মাছ একটু বড় হলে কেঁচোও দেওয়া যেতে পারে। মাছেদের খাবার কিনতে পাওয়া যায় দোকানে। তবে মশারির জাল বানিয়ে পুকুর থেকেও খাবার সংগ্রহ করা যাতে পারে।


শীতের সময়ে মাছেদের রোদের প্রয়োজন, আবার গ্রীষ্মকালে ছাওয়ায় রাখতে হয় মাছ। সপ্তাহে একদিন জল পরিবর্তন করে দিতে হয়। মাছের নানা ধরনের অসুখ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উপসর্গ বুঝেই ওষুধ দিতে হয়। রঙীন মাছ বছরে তিন বার ডিম বা বাচ্চা দিয়ে থাকে। সাধারণত ৬ মাসের মধ্যেই একটি চারা মাছ বড় হয়ে ডিম বা বাচ্চা দেয়।


রঙীন মাছের চাষে ঝুঁকি কতটা?  রঙীন মাছ সাধারণত দীর্ঘদিন বাঁচে। শীতকালে রোগ ছড়ালে মাছেদের বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়। একটু ভালবাসা। একটু সময়। এই দুই রঙীন মাছ চাষে দারুণ সুফল দিতে পারে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই একটি বা দুটি মাছ থেকে হাজার হাজার মাছ বেড়িয়ে আসতে পারে।