নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতকাল মানেই প্রচুর শাক-সবজি। শীতকালে ডাল, তরকারিতে যদি সামান্য একটু ধনে পাতা দেওয়া হয়, তাহলে সেই রান্নার স্বাদই আলাদা। এখন যদিও বাজারে সবসময়ই ধনেপাতা পাওয়া যায়। কিন্তু শীতকাল এলে এর স্বাদই আলাদা। খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি, দেখতেও সুন্দর হয়। ধনে গুঁড়ো বেশিরভাগ মানুষ মসুর ডাল বা তরকারিতে ব্যবহার করে। শুধু তাই নয়, তাজা ধনেপাতার চাটনি খুবই সুস্বাদু। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ধনেপাতা শুধু খাবারে সৌন্দর্য এবং সুগন্ধই আনে না, এর সঙ্গে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা, যা আপনার অবশ্যই জানা উচিত। ধনে গাছ এবং বীজ উভয়ই রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয়। ধনেপাতার রয়েছে একগুচ্ছ ঔষধি গুণও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, ধনেপাতা প্রায় সকলেই খান। এর গুণেরও কিন্তু শেষ নেই। স্বাস্থ্য গুণে ভরপুর এই সবজি এনজাইমগুলি সক্রিয় করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনার শরীরকে রক্তে শর্করাকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে। ধনেপাতায় রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ। এর সাহায্যে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর হয় এবং এটি রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খারাপ কোলেস্টেরল এবং এলডিএল কমাতেও ধনে কার্যকর। এই দু'টি নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখতে ধনিয়া জলও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।


এটি হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে, যার কারণে পাচনতন্ত্র আরও ভালো ভাবে কাজ করে। ধনিয়া জল শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এটি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। এই কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পায়। চিকিত্‍সাশাস্ত্রে ধনে বীজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিডনি সুস্থ রাখে, ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে, রক্তস্রাবের সমস্যা দূর করতে ধনেপাতার জুড়ি মেলা ভার। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, খনিজ, বি-ক্যারোটিনয়েডস, পলিফেনলসের মতো উপকারী ভেষজ গুণ। ধনে বীজ ও পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। ধনের জল পান করলে চুল মজবুত হয়, যার কারণে তাদের ভাঙ্গন কম হয়। ধনিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-কে, সি এবং এ পাওয়া যায়। যা চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।অবশ্যই, ধনেপাতা গার্নিশিং করার কাজে ব্যবহার করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে খুব দরকারী। আসলে, ধনেতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের কারণে কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। লিভার সংক্রান্ত সমস্যার জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। ধনেপাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যালকালয়েড এবং ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে, যা পিট্টা রোগ এবং জন্ডিসের মতো লিভারের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। ধনে বীজ থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা হজমক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে,আইবিএস-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই তেল প্রয়োগ করলে পেটে ব্যথা, ফোলাভাব, অস্বস্তি এবং ব্যথায় উল্লেখযোগ্য উপশম পাওয়া যায়।