নিজস্ব সংবাদদাতা: নভেল করোনা আতঙ্কে হোটেল, রেস্তরাঁয় খাওয়া বন্ধ করেছেন নিয়মিত ইটিং আউট করেন এমন ৪০ শতাংশ শহরবাসী। বেশ কিছু প্রাসঙ্গিক কারণে এই অনীহা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোয়ারেনটাইন বা আইসোলেশনে থাকার সরকারি পরামর্শ মানতে শুরু করেছেন শহরবাসীর একটা বড় অংশ। তাই হোটেল রেস্তরাঁর মতো বহু জন সমাগম হয় এমন স্থান তারা স্বেচ্ছায় এড়িয়ে চলতে চাইছেন।


বহু জনের ব্যবহৃত প্লেট, কাঁটা চামচ, গ্লাস অনেকেই ব্যাবহার করতে চাইছেন না। রেস্তরাঁয় যা তাদের ব্যাবহার করতেই হতো।


কলকাতাবাসী বাড়ি থেকে বেরোনো কমিয়ে দিয়েছেন। ভিক্টোরিয়া, জাদুঘর, চিড়িয়াখানার মতো জনপ্রিয় ডেস্টিনেশন বন্ধ। এগুলি দেখে বেরোনো মানুষ বাইরে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি ফিরতেন। এখন সেই পরিস্থিতি বা ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে না।



বাইরে থেকে ঝাঁ চকচকে রেস্তরাঁর কিচেনের পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারনা আছে। খাবারের গুণগত মান বা পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে তাদের মনে দ্বিধা আছে। এই আতঙ্কের বাজারে তারা এই ভাবে বাইরে খাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না।


এই কারণগুলির জেরে গত প্রায় আট দিন ধরে মানুষ রেস্তরাঁয় খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। এমনকি কমেছে খাবার পার্সেল বা হোম ডেলিভারি নেওয়ার প্রবণতা। খাবারের বিভিন্ন অ্যাপের ডেলিভারি ম্যানের ভিড়টাও তাই হঠাৎ করেই হাওয়া। এই প্রবণতা চললে রেস্তরাঁ ব্যাবসায় ক্ষতির পরিমাণ ক্রমশঃ বাড়বে বলে শহরের হোটেল ব্যাবসায়ীদের আশঙ্কা।



আরও পড়ুন: Coronavirus: ভুয়ো খবরের ‘সংক্রমণ’ ঠেকাতে উদ্যোগী WhatsApp


গুটিকয়েক মানুষ এখনও আসছেন। খাচ্ছেন। কিছুটা অনিশ্চয়তা সঙ্গে করেই। তারাও স্বীকার করছেন, রেস্তরাঁর টেবিলগুলির পারস্পরিক দূরত্ব WHOএর নির্দেশিকার তুলনায় (কমপক্ষে ১ মিটার) অনেক কম। পাশের টেবিলে যিনি খাওয়া দাওয়া করছেন, তার থেকে রোগ ছড়াবে না, এমন গ্যারান্টি নেই।