ওয়েব ডেস্ক: পছন্দের জীবন সঙ্গী খুঁজে পেতে নতুন যুগের ভরসা ম্যাট্রিমনি সাইট। হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন নিজের প্রোফাইল আপলোড করছেন সাইটে। আর এর মধ্যেই রয়েছে বিপদের ফাঁদ। ফেক প্রোফাইল খুলে বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগও এদেশে কম নয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটা সময় ছিল যখন বড়পিসি, ন-জেঠিরা খুঁজে-খুঁজে আনতেন পাত্র-বা পাত্রীর সন্ধান। সোনার টুকরো জামাইয়ের খোঁজে ঘটক ঠাকুরের উপরও নির্ভর করতেন পরিবারের মাথার। রীতিমতো খোঁজ খবর নিয়ে তবে হত ছাদনাতলায় বসার আয়োজন।


ঘটক ঠাকুরদের দিন গিয়েছে। খবরের কাগজের রবিবাসরীয় পাত্র-পাত্রীর কলামের বিজ্ঞাপন ছেড়ে বাঙালি এখন টেক স্যাভি। ছেলে বা মেয়ের জীবন সঙ্গী খুঁজতে বাবা মায়ের ভরসা এখন ম্যাট্রিমনি সাইট। মোবাইলেও মিলছে ম্যাট্রিমনি অ্যাপ। পরিবারের উপর ভরসা না করে বহু পাত্রপাত্রী নিজেই নাম লিখাচ্ছেন এসব সাইটে।


পছন্দের জীবনসঙ্গী খুঁজে দিতে ম্যাট্রমনি সাইটগুলিতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের প্যাকেজ। বিজ্ঞাপন দিতে খবচ হতে পারে ৪ হাজার থেকে ১১ লাখ পর্যন্ত। একএকটি সাইটে দিনে গড়ে ৭ হাজার প্রোফাইল আপডেট হয়। তবে বিপদও কম নয়। বাড়ি-গাড়ি। বিদেশে মোটা মাইনের চাকরি। নজরকাড়া প্রোফাইল থেকে মুগ্ধ হয়ে সম্পর্কের জন্য হাত বাড়িয়ে ঠকার কাহিনী এদেশে কম নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন মহিলারা।


কেমন এই প্রতারণা?


ফেক প্রোফাইল খুলে সম্পর্ক তৈরি করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠছে শারীরিক শোষণ, শ্লীলতাহানিরও। বহু ক্ষেত্রে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বিয়ে করে টাকা-গয়না হাতিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বিয়ে করে মহিলাকে বিক্রি করার মতো মারাত্মক অভিযোগও রয়েছে।


ম্যাট্রিমনি সাইটের রমরমার সঙ্গে বাড়ছে প্রতারকদের সংখ্যাও। কী ভাবে রোখা যাবে এই জালিয়াতদের। উদ্বিগ্ন সরকার। এর থেকে বাঁচার উপায় কী, প্রশ্ন আম জনতার।