বিপত্তি এড়িয়ে `মা` হতে চলেছে সারমেয় অ্যাঞ্জেল, সৌজন্যে আর্টিফিসিয়াল ইনসমিনেশন
কেউ মা হতে চাইলে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এক করে ফেলাও অসম্ভব না। যুগ আধুনিক। পথ অনেক। তা সে পথ যদি মানুষ নিতে পারে, তাহলে তাদের বেস্ট ফ্রেন্ডরাই বা বাদ যায় কেন! এমনই অনন্য নজির এবার কলকাতায়।
ওয়েব ডেস্ক: কেউ মা হতে চাইলে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এক করে ফেলাও অসম্ভব না। যুগ আধুনিক। পথ অনেক। তা সে পথ যদি মানুষ নিতে পারে, তাহলে তাদের বেস্ট ফ্রেন্ডরাই বা বাদ যায় কেন! এমনই অনন্য নজির এবার কলকাতায়।
মা হতে বড় সাধ জাগে...। মুখে বলার জো নেই। অবলা জীব। আদরের অ্যাঞ্জেলের মনের সাধ বুঝতে দেরি হয়নি, মেটিয়াবুরুজের চৌধুরী ফ্যামিলির। এরপরের ঘটনা ইতিহাস।
প্রাণের গান। জীবনের সুর। মিলিয়ে দিল অ্যাঞ্জেল-রিও'কে। মা হতে চলেছে দৃষ্টিশক্তিহীন অ্যাঞ্জেল। পথ বেঁধে দিল, আর্টিফিসিয়াল ইনসমিনেশন। মা হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অ্যাঞ্জেলের অন্ধত্ব। স্বাভাবিক উপায়ে মা হওয়া সম্ভব ছিল না। ছোট বয়সেই ভ্যাকসিনের রিঅ্যাকশনে দুচোখের দৃষ্টিশক্তি হারায় অ্যাঞ্জেল। ৫ বছরের অ্যাঞ্জেল ইদানিং মনমরা হয়ে থাকত। পশু চিকিত্সকরা জানিয়ে দেন, অ্যাঞ্জেলের মা হওয়া খুব জরুরি। অ্যাঞ্জেল মা না হতে পারলে শুধু মানসিকভাবে নয়, শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল।
পশু চিকিত্সক রোহিত রাজ এর সমাধানসূত্র হিসেবে আর্টিফিসিয়াল ইনসমিনেশনের কথা তোলেন। কিন্তু এভাবে কুকুরের মা হওয়া! কে কবে শুনেছে? তাই অনেকেই পিছিয়ে যান। ডোনার পাওয়া মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে। অন্ধকার যেন আরও গাঢ় হয়ে উঠছিল অ্যাঞ্জেলের জীবনে। শেষপর্যন্ত এগিয়ে আসে বাইপাসের রুবি মোড় এলাকার এক পরিবার। অ্যাঞ্জেলের জীবনে, এন্ট্রি হয় রিও'র।
এর আগে বেঙ্গালুরু, মুম্বইয়ে হলেও, কলকাতায় এই পদ্ধতির প্রয়োগ এই প্রথম। এই গোটা কর্মকাণ্ডের পিছনে রয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পশু চিকিত্সক রোহিত রাজ। অ্যাঞ্জেলের জীবনে আলো তিনিই। তবে সমস্যাও কম আসেনি। স্বপ্ন এখন শেষ পর্যায়ে। অপেক্ষা, মিনি অ্যাঞ্জেলদের জন্য। (আ।ও পড়ুন- চুম্বনের পঞ্চগুণ )