প্র-যত্নে 

 

সায়ন্তিকা 

 

শরীরের ওপর গড়ে উঠেছে মাটির ভাস্কর্য ,

 

জলের ভেতরেই পুড়ে যাচ্ছে ধানক্ষেত ,

 

জলপাই রঙের নদীটা ক্রমশঃ সবুজ হয়ে যাচ্ছে  ,

 

সরীসৃপ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে অনাবৃত শরীর ,

 

চোখের পাথর ভেঙে তৈরী হচ্ছে দেবী'র অনামিকা ,

 

গাছেদের ভ্রূণে উপাচারী বিগ্রহ যতিচিহ্ন আঁকে বজ্রাসনের গায়ে ,

 

জলপ্রপাতের স্রোতে ভেঙে যায় নৌকাটাও ,

 

চাঁদের আগুনে ঝলসে ওঠে নীল۔হলুদ পাকস্থলী ,

 

পুড়ে যাওয়ার জন্যই তো এতোকাল তৃষ্ণার্ত আমার মাতৃভূমি !

 

বারুদ আর কার্তুজ জলে জ্বলে ওঠে কন্যাকুমারীরা ,

 

কাঁটাতারে বিদ্ধ হওয়া দুটো দেশের মাঝখানে তৈরী হয় নো۔ম্যান্স ল্যান্ড !

 

হত্যালীলা সম্পূর্ণ করা ভূমিটুকু আশ্রয় খোঁজে প্রতিবেশীর ঘরে ,

 

নর্মদার জলে তলিয়ে যায় কেবল পচে যাওয়া মানুষের হৃদপিন্ড ,

 

অথচ,

 

এই আমরা একশো আটটা বেলপাতাতে ঘী মাখিয়ে প্রযত্নে তুলে রাখি দেবীর অলংকার ,

 

ঠিক তখনই কোনো এক জঙ্গির গুলিতে মৃত্যু হয় ময়না অথবা ফাতেমা ,

 

যত্নে তুলে রাখা কবির কলম থেকে শুধু ঝরে মাকড়সার আঠালো রস ,

 

কবিতার ঊর্ধে উঠে যায় কবি !!