আমিষ-নিরামিষ, দেশি-বিদেশী— সব রকমের পদই চেখে দেখতে বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। ইদানীং মাছের নানা পদের উপর অনেকটাই ঝোঁক বেড়ে গিয়েছে বাঙালির। আর এই দুপুরের সময়টায় মাছের ঝোল-ভাতের মতো উপাদেয় আর কী বা হতে পারে! আজ রইল কাতলা মাছের এমন একটা রেসিপি যা আমরা রেস্তোরাঁয় গিয়ে খেতেই অভ্যস্থ। আজকের রেসিপি জিভে জল আনা কাতলা মাছের রেজালা। চিকেন, মটনের রেজালা তো অনেক খেয়েছেন। আজ একটু কাতলা মাছের রেজালা চেখে দেখুন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাতলা মাছের রেজালা বানাতে লাগবে:—


কাতলা মাছের মাঝারি মাপের টুকরো: ৫-৬টা,


পেঁয়াজ: ৩০০ গ্রাম,


রসুন: ২০ গ্রাম,


ছোট এলাচ: ২০টা,


কাঁচা লঙ্কা বাটা: ১ কাপ,


নারকেল কোরা: ২০ গ্রাম,


কাজু বাদাম: ৫০ গ্রাম,


দই: ২৫০ গ্রাম,


খোয়া: ১৫০ গ্রাম,


ক্রিম: ১৫০ গ্রাম,


ঘি: ২৫০ গ্রাম,


কেওড়া জল: ২ ফোঁটা,


মিষ্টি আতর: ২ ফোঁটা,


নুন: স্বাদ মতো।


কাতলা মাছের রেজালা বানানোর পদ্ধতি:—


মাছের টুকরোগুলো ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। আদা ও রসুন বাটা ভাল করে চিপে নিয়ে রস সরিয়ে রাখুন। পেঁয়াজ, কাজু বাদাম ও নারকেল আলাদা আলাদা করে বেটে নিন।


এ বার একটা পাত্রে তেল গরম করে মাছের টুকরোগুলো হালকা করে ভেজে তুলে নিন। এ বার ওই তেলেই পেঁয়াজ বাটা, রসুন ও আদার রস দিন। মশলার জল শুকিয়ে গেলে ঘি, ফেটানো দই দিয়ে তেল ছেড়ে আসা পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।


এর পর কাজু বাদাম বাটা ও নারকেল বাটা দিয়ে ২-৩ মিনিট ভাজুন কিন্তু খেয়াল রাখবেন মশলা যেন বাদামি না হয়ে যায়। এ বার পাত্রে মাছের টুকরোগুলো ছেড়ে দিয়ে কাঁচা লঙ্কা বাটা, দেড় কাপ জল দিয়ে ফুটিয়ে ঘন ঝোল বানিয়ে নিন।


কিছু ক্ষণ হালকা আঁচে রেখে নামিয়ে নিয়ে কেওড়া জল, মিষ্টি আতর ও খোয়া দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। সব শেষে ক্রিম দিয়ে গার্নিশ করে পোলাও বা গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন জিভে জল আনা কাতলা মাছের রেজালা।