নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতকাল মানেই সর্দি-কাশি, বুকে শ্লেষ্মা বা কফ জমার সমস্যা। শীতের মরসুমে তাপমাত্রার তারতম্যে সর্দি-কাশির সমস্যা ঘরে ঘরে লেগে থাকে। অনেকেই সর্দি-কাশির সমস্যাকে তেমন গুরুত্ব দিতে চান না। কিন্তু সময় মতো চিকিৎসা না করালে বুকে শ্লেষ্মা বা কফ জমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে শ্বাসযন্ত্রে। কিন্তু অনেকেই হয়তো এ কথা জানেন না, ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশির সমস্যার প্রতিকারে একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান হল বেসন। বেসন দিয়ে তৈরি এমন একটি সুস্বাদু খাবার বা আয়ুর্বেদিক পথ্য রয়েছে যা সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগার সমস্যা নিরাময়ে খুবই কার্যকরী। আসুন আজ শিখে নেওয়া যাক উত্তর ভারতে একটি ঘরোয়া খাবারের রেসিপি, (এটি আসলে একটি আয়ুর্বেদিক পথ্য) যার নাম ‘বেসন শিরা’।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেসন শিরা বানাতে লাগবে:—


বেসন ছাড়াও এতে থাকে সামান্য ঘি, হলুদ গুঁড়ো, দুধ, গোলমরিচ গুঁড়ো আর গুড়। ‘বেসন শিরা’ অনেকটা হালুয়ার মতো খেতে। অসুস্থ ও দুর্বল শরীরকে চাঙ্গা করে তুলতে সাহায্য করে বেসন। এ ছাড়াও বেসনে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ঠান্ডা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। অনেক সময়ে এতে হলুদ গুঁড়ো দেওয়া হয়, সেটা ঠান্ডা দূর করতে কাজে আসে। ঘিয়ে ধীরে ধীরে বেসন ভাজার কারণে এবং এতে গুড় দেওয়ার কারণেও শরীর ভেতর থেকে গরম হয়ে আসে।


বেসন শিরা বানানোর পদ্ধতি:—


একটি পাত্রে কয়েক ৩-৪ চামচ ঘি গরম করে নিয়ে তাতে ধীরে ধীরে ভাল করে নেড়েচেড়ে বেসন ভেজে নিন। বেসনের রং গাড় হলুদ হয়ে এলে এতে দুধ দিয়ে ফের নাড়তে থাকুন। মিনিট পাঁচেক পর হলুদ আর গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে নেড়েচেড়ে মেশাতে থাকুন। সবশেষে এর মধ্যে আন্দাজ মতো গুড় দিয়ে ৫-৭ মিনিট নেড়েচেড়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। স্বাদ বাড়াতে আঁচ থেকে নামিয়ে বেসন শিরার ওপর থেকে সামান্য বাদামও ছড়িয়ে দিতে পারেন। গরম থাকতে থাকতেই খেয়ে নিন বেসন শিরা।