নিজস্ব প্রতিবেদন: চুলের গোড়া ভেজা থাকলে, চুল ময়লা থাকলে উকুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ছোটরা তো বটেই, বড়রাও উকুনের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আর উকুন এমন একটি জিনিস, যা বাড়িতে একবার প্রবেশ করলে সবার মাথায় ছড়িয়ে যাওয়া একদম অবধারিত। উকুনের সমস্যা একবার শুরু হলে একেবারেই পিছু ছাড়তে চায় না। উকুন নাশক শ্যাম্পু ব্যবহারে উকুনের সমস্যা কমে ঠিকই, কিন্তু এতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রভাবে অনেকেরই চুল পড়ে অর্ধেক হয়ে যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাই বাড়িতেই তৈরি করে রাখতে পারেন উকুননাশক সিরাম। এটা বেশ কিছু দিন ঘরে রেখে ব্যবহার করা যাবে। উপাদানগুলি সবই সহজলভ্য। এ বার জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়ে উকুননাশক সিরাম তৈরি ও ব্যবহারের পদ্ধতি।


সিরাম তৈরি করতে যা লাগবে:


মেথি, আমলকির তেল ৫০ গ্রাম,


তিলের তেল ১০০ গ্রাম,


কালোজিরা তেল ১০০ গ্রাম,


নিম পাতা গুঁড়ো ২-৩ টেবিল চামচ।


সিরাম তৈরি করার পদ্ধতি:


সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। খুব হালকা করে গরম করুন। খেয়াল রাখবেন যেন ফুটে না ওঠে। ঠান্ডা করে বোতলে ভরে রাখুন।


ব্যবহারবিধি:


১) তেল ব্যবহার শুরুর আগে বিছানার চাদর, বালিশের কাভার সব বদলে নিতে হবে এবং গরম জল দিয়ে ঘরের তা ধুয়ে নিতে হবে।


২) সবকিছু বদলে ফেলার পর মাথায় তেলটি দিয়ে ভাল করে মালিশ করতে হবে। এর সঙ্গে অন্য কিছু মেশানো যাবে না। যাদের মাথায় উকুনের কামড়ে ঘা হয়ে গিয়েছে, তাদের একটু জ্বলতে পারে প্রথম প্রথম। মাথার তালুতে ও পুরো চুলে ভাল করে মালিশ করতে হবে।


৩) সিরাম মালিশ করার ২-৩ ঘণ্টা পর মিহি দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল ভাল করে আঁচড়াতে হবে।


৪) সব মিলিয়ে মোটামুটি ৩-৪ ঘণ্টা রাখার পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।


৫) এই ভেষজ সিরাম ২-৩ বার ব্যবহারেই বুঝতে পারবেন যে, উকুনের পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছে। সপ্তাহখানেক নিয়মিত ব্যবহারে উকুনের সমস্যা একেবারেই থাকবে না। তবে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই সিরাম অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।


উকুন কেবল বিব্রতকরই নয়, অস্বাস্থ্যকরও। মাথায় উকুন হলে তাই দ্রুত নির্মূলের ব্যবস্থা নিন। বাড়িতে নিজেই বানিয়ে নিন ভেষজ সিরাম। সপ্তাহখানেক ব্যবহার করে উপকার পান হাতেনাতে।


এ ছাড়া আরও দুটি উপাদান ব্যবহার করে উকুনের উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে পারেন।


১) রসুনের ব্যবহার: ১০ কোয়া রসুন নিন। ভাল করে খোসা ছাড়িয়ে বেটে নিন। এর সঙ্গে ২ চা চামচ লেবুর রস মেশান। ভাল করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে মাথার ত্বকে ভাল করে ঘষে লাগিয়ে নিন। চুলের গোঁড়ার কোনও অংশ যেন বাদ না যায়! এ ভাবে ৩০ মিনিট পেস্টটি চুলে লাগিয়ে রাখুন। এর পর উষ্ণ গরম জলে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩ দিন এই পদ্ধতিটি কাজে লাগালে উকুনের সমস্যা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে।


২) মেয়োনেজের ব্যবহার: মেয়োনেজ শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এটির মধ্যে রয়েছে উকুন তাড়ানোর অসাধারণ ক্ষমতা। সমস্ত চুলে এবং মাথার ত্বকে ভাল করে মেয়োনেজ লাগিয়ে নিন। এর পর চুল ভাল করে শাওয়ার ক্যাপ বা অন্য কিছু দিয়ে বেধে ঘুমুতে চলে যান। সকালে উঠে ভিনেগার মেশানো জল দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে নিন। এর পর স্বাভাবিক ভাবে চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন। চুল ধোয়ার সময় আলতো করে চিরুনি চালিয়ে দিন। এই পদ্ধতিতে উকুন তো দূর হবেই সেই সঙ্গে চুলের সঙ্গে আটকে থাকা সাদা উকুনের ডিমও নিমেষে দূর হয়ে যাবে। সপ্তাহে মাত্র ২ বার ব্যবহারেই ভাল ফলাফল পেয়ে যাবেন।