রূপম দে


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চৈত্রসেলের ডিসকাউণ্টের লোভটা আজও ছাড়তে পারে না কমলিকা। যতই অনলাইন শপিং হোক আর শপিং মলের এসির হাওয়া থাক এই চৈত্রের বাজারে ঘরকন্নার হাজার-একটা টুকিটাকি কিনতে যা মজা তা আর অন্যকোথাও নেই। ছেলেমেয়েরা কেরিয়ারের সিঁড়ি চড়তে ব্যস্ত। এনিয়ে তার যদিও কোনও মন খারাপ নেই। এইটাই তো সময় এখন খাটবে না তো কবে খাটবে। সবার সঙ্গে সেভাবে দেখা না হলেও সবার জন্যই কেনাকাটা করে প্রতি বছরই। সে কারও ভালো লাগুক আর নাই লাগুক কেউ পরুক আর নাই পরুক। তবে ওর পছন্দ করে দেওয়া জিনিস কারও পছন্দ হয়নি এমনটা কেউ কোনোদিন বলতে পারবে না। সারা সন্ধ্যে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সবকিছু জিনিসপত্র কিনে বাড়ির দিকে পা বাড়াল কমলিকা।


এমন সময় কালবৈশাখী শুরু হল সেই সাথে নামল বৃষ্টি আর সঙ্গে সঙ্গে আরও একজনের উদয় হল- সে অনন্ত, কমলিকার অফিসফেরতা স্বামী।


“একি, তোমার ছাতা কোথায়?”


“ছাতা? নিয়ে বেরোতে ভুলে গেছি...”


কমলিকার খটকা লাগে বলে,“আমি তো নিজে তোমার ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম...”


“তাই? তাহলে সিওর অফিসে ফেলে এসেছি...”


“আর ক’টা ছাতা হারাবে শুনি!!!...”


বৃষ্টির বেগ বাড়তে থাকে, বেশীরভাগটাই ভিজে যায় দুজনে। কমলিকারও গজরানি বেড়ে চলে।


বাড়ি ফিরে কমলিকা স্বামীর ব্যাগ হাতড়ায়। দেখে ছাতাটা ব্যাগেই আছে ঠিক। এতক্ষণে সবকিছু জলের মতো পরিষ্কার। রেগে আগুন হওয়ার বদলে হেসেই ফেলল।


ভাবে, বিয়ের পঁচিশটা বছর কেটে গেল। কিন্তু নিজের ছাতাটা লুকিয়ে একটাই ছাতার তলায় একসাথে যাওয়ার লোভটা অনন্ত আজও সামলাতে পারেনা।


আরও ভাবে এটাই তো চেয়েছিল কমলিকা হ্যাঁ এটাই তো চেয়েছিল...


আরও পড়ুন- সামান্য এগিয়ে বা পিছিয়ে