ওয়েব ডেস্ক: চুনোপুঁটিদের মেলা। আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। রাঘববোয়ালদের জামানায় খাল বিলের চুনোপুঁটিদের আঁকড়ে ধরেই দিশা দেখতে চাইছে রাজ্য মত্স্য দফতর। রুই, কাতলা, ইলিশের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া চুনোপুঁটিদের ফেরাতে এবার উদ্যোগী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেট গতির যুগে ছোট মাছ খাওয়ার সময় কোথায়! তাই এক সময় শহুরে বাঙালিদের কাছে হেলায় হারিয়েছিল ন্যাদা, খয়রা, খোলসে, পুঁটি, ল্যাটা, মৌরলাদের কদর। তবে এখন পরিস্থিতির একটু হলেও বদলেছে। বেড়েছে চুনো পুঁটিদের চাহিদা। কারণ, মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হচ্ছেন। চিকিত্সকেরা বারবারই বলছেন, বড় মাছ ছেড়ে, ছোট মাছ খান।


ছোট মাছের উপকারিতা-
 
১) প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি।


২) চোখ ভাল রাখে।


৩) হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমায়।


৪) কোলেস্টোরেল নিয়ন্ত্রণে রাখে।


৫) ত্বক ভাল রাখে।


আরও পড়ুন- এ ইলিশ আর সেই ইলিশ নেই!


বাজারে এখন রাঘববোয়ালদের থেকে পুঁটি, মৌরলারাই দামে এগিয়ে। এর বড় কারণ, ছোট মাছের উত্পাদন কম। জনসংখ্যার চাপে কার্যত হারিয়ে যাচ্ছে খাল বিল। ছোট মাছের আঁতুরঘর খাল-বিল ফিরেয়ে আনতে অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার রাজ্য জুড়ে হবে খালবিল চুনোপুঁটি মেলা। উদ্দেশ্য একটাই, ছোট মাছের উত্পাদন বাড়ানো। তবে মেলা কিন্তু হচ্ছে একবারে উত্সবের ঢঙেই।



কেমন হবে চুনোপুঁটি মেলা?


খাল বা বিলের মাঝখানে তৈরি হবে ভাসমান মঞ। মঞ্চে সানাই, বাউল পল্লি গীতির আসর বসবে। খালা বা বিলের  দু'পাড়ে থাকবেন দর্শকরা। সেখানেই থাকবে চুনোপুঁটি মাছের রকমারি পদ। মেলাকে উত্সবের চেহারা দিতে ডিঙি এবং নৌকার বাইচ প্রতিযোগিতাও হবে বাড়তি পাওনা।


ছোট মাছের উত্পাদন বাড়াতে কী কী করা হচ্ছে?


১) রাজ্যের মজে যাওয়া খাল-বিল-পুকুর সংস্কার।


২) একশো দিনের প্রকল্পে খাল বিল সংস্কার।


৩) মাছ চাষের দায়িত্বে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা-পুরুষরা।


৪) মাছ চাষে মত্স্য দফতরের প্রশিক্ষণ।


৫) বিনামূল্যে সরকারের তরফে মাছের বীজ বিলি।


আরও পড়ুন- আষাঢ়ের আগমনেই এল ইলিশ বার্তা!


এতে এক ঢিলে দুই পাখি মরবে। একদিকে গ্রামের দরিদ্র মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। আর অন্যদিকে মাছ প্রিয় বাঙালির রসনায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুরনো কুচো মাছের স্বাদ।