এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন, সঙ্গিনী মেজাজ থাকবে আপনার বশেই!
আসুন জেনে নেওয়া যাক...
নিজস্ব প্রতিবেদন: মেয়েদের মন বোঝা শক্ত— এই কথাটা ছেলেদের প্রায়ই বলতে শোনা যায়। সঙ্গিনীর মেজাজ বুঝে চলতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় ছেলেদের। কেন মেয়েরা কথায় কথায় এত রাগ করে বলুন তো! আসলে নিজের সঙ্গীর মধ্যে কয়েকটি অভ্যাস বা স্বভাব একেবারেই মেনে নিতে পারেন না। আর যেগুলি পছন্দ করেন না, সেগুলিই তাঁর সঙ্গীর মধ্যে লক্ষ্য করলে চটে যান মেয়েরা। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে যেগুলি মেয়েরা একেবারেই পছন্দ করেন না বা তাঁদের রাগিয়ে দিতে পারে...
১) বেশির ভাগ মেয়েরাই সারা দিন বাড়ির অধিকাংশ কাজ করেন। চেষ্টা করুন সঙ্গিনীর কাজকেও সমান গুরুত্ব দিতে। ওই বিষয়গুলিতে কথা উঠলে, সেগুলি মন দিয়ে শুনুন, পারলে প্রশংসাও করুন। এই বিষয়গুলিতে তাঁকে গুরুত্ব না দিলেই বিপদ!
২) মেয়েরা তাঁর সঙ্গীর কাছ থেকে মিথ্যা কথা একদমই সহ্য করতে পারেন না। যত সমস্যাই হোক, তাঁদের সত্যিটাই বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন। কারণ, আপনার মিথ্যা ধরা পড়ে গেলেই শুরু হতে পারে দীর্ঘমেয়াদী অশান্তির!
৩) মেয়েরা কখনওই তার পরিবার বা প্রিয় বন্ধুদের সম্পর্কে কোনও রকম সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। তাই সঙ্গিনীর সামনে তার আপনজনদের সম্পর্কে সমালোচনা না করাই ভাল।
৪) মেয়েরা একটু বেশিই অভিমানী। তাই ছোট ছোট বিষয় হলেও, কথা দিয়ে কথা রাখার চেষ্টা করুন।
৫) কখনই নিজের সঙ্গিনীকে অন্য কারও সঙ্গে কখনওই তুলনা করবেন না। এতে তাঁরা মনে কষ্ট পেতে পারেন।
৬) সঙ্গিনী অভিমান করলে অবশ্যই তাঁকে মানানোর চেষ্টা করুন। মেয়েরাও সেটাই আশা করেন তাঁর সঙ্গীই অভিমান ভাঙানোর চেষ্টা করবেন। তাই সঙ্গিনীর অভিমানের কারণ বুঝে তাঁকে মানানোর চেষ্টা অবশ্যই করুন।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত সেলফি পোস্ট করলে মনে হতে পারে আত্মকেন্দ্রিক, মত মনোবিদদের
৭) আপনার সঙ্গিনীর উপস্থিতিতে কখনও সেখানে উপস্থিত কোনও তৃতীয় ব্যক্তিকে বেশি গুরুত্ব দেবেন না। কোনও পুরনো বন্ধু বা পরিচিত কেউ সামনে থাকলেও সমান ভাবে সঙ্গিনীকেও সময় দিন।
৮) মেয়েদের বেশি অপেক্ষা করাবেন না। কোথাও ঘুরতে যাওয়া বা ডেটের ক্ষেত্রে সব সময় সময় মতো পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। কারণ, অপেক্ষা করতে হলেই মেয়েদের মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে।