ব্যুরো: গরমে নাজেহাল? যা খাচ্ছেন তাতেই অম্বল, পেটখারাপ ? লাউ খান ডালে-ঝোলে-অম্বলে। কিডনি থেকে লিভার, হার্ট থেকে স্কিন। গরমে সুস্থ থাকতে পাতে থাকুক লাউ। কোনও বিকল্প নেই লাউয়ের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চাঁদিফাটা গরম। ঘাম ঝরছে দরদরিয়ে। শরীর থেকে হু হু করে বেরিয়ে যাচ্ছে নুন। শরীর ক্লান্ত হচ্ছে দ্রুত। এনার্জি নিঃশেষ। বাঁচার উপায় কী?


ওজন কমায়। চুল থাকে ঘন কালো। স্কিন থাকে টানটান। ঘুম হয় গভীর। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। হজমে সাহায্য করে লাউ। হাড় মজবুত রাখে। হার্ট থাকে বিন্দাস। এমনকি মানসিক চাপ কমায় লাউ।


লাউ খাবেন কীভাবে? যেভাবে খুশি খান। লাউ চিংড়ি, শোল লাউ, দেশি মুরগির লাউঝোল, লাউ ডাল, লাউ ডিম। যেমন খুশি তেমন খান লাউ। টেস্টি টেস্টি লাউয়ের হালুয়াও খাওয়া যেতে পারে। শরীর থাকবে ঠান্ডা। কারণ, লাউয়ে ভরপুর পুষ্টিগুণ।


১০০ গ্রাম লাউয়ে থাকে ২.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.২ গ্রাম প্রোটিন, ফ্যাট ০.৬ গ্রাম, ভিটামিন C ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১০ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, নিকোটিনিক অ্যাসিড রয়েছে ০.২ মিলিগ্রাম। এছাড়া মিনারেল, ভিটামিন B1, ভিটামিন B2 ও প্রচুর আয়রন রয়েছে লাউয়ে। 


লাউয়ে থাকে প্রচুর জল। ফলে, ডায়েরিয়ায় লাউ মহৌষধ। স্কিনের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। প্রস্রাবের সংক্রমণের সমস্যা দূর করে লাউ। কিডনির কার্যক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। যাঁদের ব্লাড প্রেশার বেশি, তাঁদের জন্য লাউ আদর্শ সবজি। কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ, পেট ফাঁপা প্রতিরোধ করে লাউ। দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসমনিয়া দূর করে। প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের কারণে দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে লাউ। ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লাউ খুব উপকারি। চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পাকা কমায় লাউ। তাই তো লাউ এত সাধের। আপনাকে বলতেই হবে লাভ ইউ লাউ।