নিজস্ব প্রতিবেদন: গরমকালে বাজারে গেলে এই আনাজটি চোখে পড়বেই। সবুজ বড় আকারের। কেটে বিক্রি হয়। যা খেতে সুস্বাদু, উপকারীও। এখানে এঁচোড়ের কথা বলা হচ্ছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিরামিষ পদ হিসাবে এঁচোড়ের তরকারির কোনও বিকল্প নেই। এঁচোড় আলুর তরকারি, এঁচোড়ের ডালনা, এঁচোড়ের কোপ্তা, এঁচোড়ের কালিয়া তো পদ হিসেবে দারুণ। গরম ভাতের সঙ্গে এঁচোড়ের এর যে কোনো একটি পদ দিয়েই এক থালা ভাত খেয়ে নেওয়া যায়। মাছ-মাংস লাগবে না। কেউ কেউ আরও একটু অ্যাডভেঞ্চারাস হয়ে এঁচোড়ের বিরিয়ানি, চপ-কাটলেট পর্যন্ত করে ফেলে।


খান কিন্তু অনেকেই হয়তো সেভাবে জানেন না যে, শুধু মুখের স্বাদে নয় পুষ্টিতেও এঁচোড়ের বিকল্প প্রায় নেই! এঁচোড়ে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম-সহ নানা উপাদান।


এঁচোড় বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও বলিরেখাও কমায়। এর মধ্যকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ সৃষ্টিকারী মুক্ত উপাদান যাদের 'ফ্রি র‍্যাডিক্যালস' বলে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকায় হাড়ের ক্ষয় ঠেকাতে পারে। পেটের নানা রকম পীড়া থেকেও মুক্তি দেয় এঁচোড়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। অন্ত্রের সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে যে আঁশ থাকে, তা কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। পেটের আলসার ঠেকাতেও এঁচোড় খাওয়া চলে বলে পুষ্টিবিদদের মত। ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় পেট পরিষ্কারে সহায়তা করে। 


এতে ফ্যাট খুব কম। তাই বেশি খেলেও ওজন বাড়ার শঙ্কা নেই। বরং পেট ভরিয়ে রেখে উল্টে ওজন কমাতেই সাহায্য করে। এঁচোড়ের ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন চোখ ভালো রাখে। ক্যান্সার ও টিউমারের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এর সোডিয়াম ও পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্সকে ঠিক রাখে। যা প্রকারান্তরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হার্টও ভালো রাখে। এতে আয়রন থাকে, ফলে রক্তাল্পতার রোগীদের জন্যও এঁচোড় খুব কার্যকরী। 


আরও পড়ুন: International Day of Happiness 2022: যাও সুখের সন্ধানে যাও! কিন্তু কী ভাবে মিলবে সুখ?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)