ওয়েব ডেস্ক: সারা দেশ জুড়ে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী । সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মতিথি উপলক্ষে পালিত হয় এই উত্‌সব। কীভাবে জন্ম হয়েছিল দেবী পার্বতীর সন্তানের? জানুন-


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পূরাণ মতে জানা যায়, একদিন পার্বতী স্নান করতে যাওয়ার সময়ে নন্দীকে গুহার দরজায় পাহারায় রেখে যান। আদেশ দিয়ে যান, সে যেন কাউকে ভিতরে প্রবেশ করতে না দেয়। কিন্তু সেই সময়েই হাজির হন ভগবান মহাদেব। নন্দী পার্বতীর অনুমতি না নিয়েই শিবঠাকুরকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়। এতে নন্দীর উপর ক্ষুব্ধ হন পার্বতী। অনুভব করেন, এমন একজনকে তাঁর দরকার যে একমাত্র তাঁরই আদেশ মান্য করবে। সেই মতো দেবী পার্বতী একদিন গায়ে হলুদ মাখেন এবং সেই হলুদ দিয়ে একটি মূর্তি তৈরি করেন। সেই মূর্তিতে সমস্ত প্রাণ এবং ঐশ্বরিক ক্ষমতা দেন। জন্ম হয় গণেশের।


পরদিন একইরকমভাবে পার্বতী স্নান করতে যাওয়ার আগে গণেশকে গুহার দরজায় পাহারায় রেখে যান। আদেশ দিয়ে যান, তিনি যতক্ষণ না বলছেন, সে যেন কাউকে ভিতরে প্রবেশ করতে না দেয়। এদিকে গণেশের জন্মের কথা মহাদেবের অজানা ছিল। মহাদেব গুহায় প্রবেশ করতে গেলে গণেশ বাধা দেয়। ছোট্ট একটা ছেলের বাধা পেয়ে রেগে যান শিবঠাকুর। রেগে গিয়ে তিনি গণেশের ধড় থেকে মুণ্ড আলাদা করে দেন। মৃত্যু হয় গণেশের। মাটিতে গণেশের ধড় আর মুণ্ডু পড়ে থাকতে দেখে প্রচণ্ড রেগে যান পার্বতী। তিনি তখন রুদ্রমূর্তি ধারণ করে পৃথিবীকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেন। এরকম যখন অবস্থা তখন ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং অন্যান্য দেবতারা তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। দেবী পার্বতী তখন বলেন যে, একটা শর্তে তিনি শান্ত হতে পারেন। গণেশের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে হবে এবং সমস্ত দেবতার পুজো করার আগে গণেশের নাম উচ্চারণ করতে হবে।


সেই সময়ে শিবঠাকুর তাঁর ভুল বুঝতে পারেন এবং অনুচরকে আদেশ করেন, উত্তর দিকে মুখ করে শুয়ে থাকা যেকোনও প্রাণির মুণ্ড নিয়ে আসতে। অনুচরেরা একটি হাতির মাথা নিয়ে ফিরে আসে। গণেশের শরীরের সেই হাতির মাথা বসানো হয় এবং শিবঠাকুর গণেশের শরীরে প্রাণ দান করেন। গণেশ প্রাণ ফিরে পায়। তারপর থেকেই যেকোনও দেবতার পুজোর আগে সিদ্ধিদাতা গণেশের নাম উচ্চারণ করা হয়।