ওয়েব ডেস্ক: "রাজনীতি হল এমন এক ক্ষমতা যা বলে দিতে পারে আগামীকাল কী ঘটতে চলেছে, আগামী সপ্তাহে কী ঘটতে পারে এবং আগামী মাস এবং আগামী বছরে কী কী ঘটনার সম্ভাবনা আছে। তার সঙ্গেই রাজনীতি হল এমন ক্ষমতা যা বর্ণনা করতে পারে কোনটা হল, কীভাবে হল, আর যেটা হল না, সেটা কেন হল না", ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী উইস্টন চার্চিলের এই মন্তব্যই বোধহয় রাজনীতির সবথেকে সহজতম সংজ্ঞা। এর সঙ্গেই মনে করিয়ে দেওয়া দার্শনিক অ্যারিস্টটলের কথা, "মানুষ একটি রাজনৈতিক প্রাণী"। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সময় যত বদলেছে, রাজনীতির সংজ্ঞাও বদলেছে। দেশ, মহাদেশ রাজনীতির মোড়ক কখনও সাম্রাজ্যবাদী, কখনও ফ্যাসসিস্ট চরিত্র নিয়েছে। আবার কখনও সাম্যবাদী কখনও কমিউনিজমের সূত্রে সংজ্ঞায়িত হয়েছে রাজনীতি। প্রতিনিয়ত পাল্টে যাওয়া পরিবেশে রাজনীতি কখনও অস্ত্র হয়েছে সাম্রাজ্য স্থাপনের আবার কখনও রাজনীতিকে হাতিয়ার করে শ্রমিক বুঝে নিয়েছে তাঁর অধিকার। 


এই রাজনীতি মানুষের প্রকৃতি। এটাই বলে গিয়েছেন জ্ঞাপনের আদি মানব তথা শিক্ষক দার্শনিক অ্যারিস্টটল। বদলে যাওয়া মতাদর্শ, পাল্টে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবেশ কখনও আশার আলো আবার কখনও অন্ধকার টানেলের শেষ দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়েছে মানুষের। সদর্থক কিংবা নঞর্থক যে ভাবেই ব্যখ্যা করা হোক রাজনীতি আসলে মানুষের সৃষ্টি। এই সৃষ্টির কপিরাইট কেবল মানুষেরই। হঠাৎ একদিন পৃথিবীর প্রাণী জগতের কেউ যদি দাবি করে, 'আজ থেকে, এখন থেকে রাজনীতি করব আমরা'! কেমন হবে? কেমন হবে যদি তৈরি হয় সারমেয়দের লোকসভা? যুক্তি তর্কে উঠে আসবে কেবল একটাই শব্দ 'ঘেউ ঘেউ'। তার নমুনা রইল, দেখুন-